বেজে গিয়েছে বিশ্বকাপের দামামা। বিরাট কোহালির নেতৃত্বে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিয়েছে আপামর ভারতীয়। কিন্তু জয়ের পথটা তো শুরু ১৯৮৩ সালে। আর তারপর এল ১৯৮৭ সাল। সে বছর সেমিফাইনালে উঠেও খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল ভারতকে। ভারত ও পাকিস্তান দুই আয়োজক দেশের কেউই পায়নি কাপ। ১৯৮৭ সালের সেই বিশ্বকাপ দলের সদস্যরা আজ কোথায়? দেখে নেওয়া যাক।
কপিল দেব: সে বারের অধিনায়ক বর্তমানে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ ও পরামর্শদাতার কাজ করেন তিনি। বিজ্ঞাপনী ছবিতেও নিয়মিত দেখা যায় তাঁকে। কপিলের জীবন নিয়ে সম্প্রতি ৮৩ নামে একটি ছবি তৈরি হচ্ছে বলিউডে। এতে অভিনয় করছেন রণবীর সিংহ।
মহম্মদ আজহারউদ্দিন: হায়দরাবাদের ডান হাতি ব্যাটসম্যান ক্রিকেট পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ তো করেনই। তবে তার চেয়েও বেশি দায়িত্ব রয়েছে তাঁর। তিনি পা রেখেছেন রাজনীতির আঙিনায়। কংগ্রেসের হয়ে সাংসদ পদের দায়িত্ব পালন করেছেন ২০০৯ সাল থেকে। গড়াপেটার সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়েছে একাধিক বার।
রজার বিনি: ভারতীয় দলের বিখ্যাত এই পেসার ক্রিকেট পরামর্শদাতা ও বিশেষজ্ঞের কাজ করেন। ১৯৮৭ সালে ব্যাটে-বলে দক্ষতা প্রমাণ করেছিলেন বিনি। তিনি বিসিসিআইয়ের নির্বাচকও ছিলেন।
সুনীল মনোহর গাওস্কর: বিখ্যাত এই তারকা ক্রিকেটার পরামর্শদাতা ও বিশেষজ্ঞের কাজ করেন। চলতি বছরের বিশ্বকাপ দলে ঋষভ পন্থ না খেলায় খানিকটা বিস্মিত তিনি, জানিয়েছেন এমনটাই। ১৯৮৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে মাত্র ৩২.১ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে ২২২ রান তুলে ফেলে টিম কপিল। জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন সুনীল। ১০৩ রান করেন তিনি।
মনিন্দর সিংহ: তিনি আইপিএলেও পরামর্শদাতার কাজ করেছেন। রঞ্জি ট্রফি ও বিজয় হাজারে ট্রফিতেও পরামর্শদাতার কাজ করেছেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
কিরণ মোরে: উইকেটকিপার কিরণের ক্রিকেট অ্যাকাডেমি রয়েছে, প্রশিক্ষণও দেন তিনি। বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন নির্বাচকও ছিলেন তিনি। ঋষভ পন্থ তাঁর অন্যতম প্রিয় ছাত্র।
চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত: ডানহাতি প্রাক্তন ব্যাটসম্যান রঞ্জি ট্রফিতে সামলেছেন বিদর্ভের কোচের দায়িত্ব। প্রশিক্ষণও দেন অ্যাকাডেমিতে।
মনোজ প্রভাকর: ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারের নাম জড়িয়ে গিয়েছিল গড়াপেটা কাণ্ডে। তিনি বর্তমানে ক্রিকেট পরামর্শদাতার কাজ করেছন। ১৯৯৬ সালে দক্ষিণ দিল্লি থেকে তিনি কংগ্রেসের হয়ে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি।
চেতন শর্মা: ১৯৮৭ সালের ২১ অক্টোবর। হ্যাটট্রিক করে বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে নাম লিখিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি ক্রিকেট বিশেষজ্ঞের কাজ করেন। ক্রিকেট অ্যাকাডেমিও রয়েছে তাঁর।
রবি শাস্ত্রী: বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ রবি ছিলেন ১৯৮৭ সালের টিমে। পারফরম্যান্সও বেশ ভাল ছিল তাঁর।
নভজোত সিংহ সিধু: বর্তমানে পঞ্জাবের মন্ত্রী। কংগ্রেসের হয়ে লোকসভা নির্বাচনেও জিতেছেন এই বিশ্বকাপার। ধারাভাষ্যকার, ক্রিকেট পরামর্শদাতা, ‘মোটিভেশনাল স্পিকার’ সিধু, এমনটাই বলছে তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট।
লক্ষ্ণণ শিবরামকৃষ্ণণ: প্রাক্তন এই ক্রিকেটারকে আইপিএলেও ধারাভাষ্যকার হিসাবে দেখা গিয়েছে। অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণও দেন তিনি।
কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত: প্রাক্তন এই বিশ্বকাপার ২০১১ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের নির্বাচকদের চেয়ারম্যান ছিলেন। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হিসাবে কাজ করেন তিনি। চলতি বছরের বিশ্বকাপ দলে ঋষভ পন্থ সুযোগ না পাওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করে পোস্টও করেছেন তিনি।
দিলীপ বেঙ্গসরকর: এই বিশ্বকাপার মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের ক্রিকেট ইমপ্রুভ কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন সম্প্রতি।