তিনি এই মুহূর্তে ভারতের সেরা ক্রিকেটার। একদিনের ম্যাচে দশ হাজারের বেশি রান। ২০০-এর বেশি একদিনের ম্যাচ খেলা বিরাট আজ থেকে দশ বছর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ম্যাচটি খেলেছিলেন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে অবশ্য মাত্র ১২ রানে আউট হয়েছিলেন। সে দিনের বাকি দশ জনের মধ্যে মাত্র দু’জন আজ তাঁর একদিনের দলের সঙ্গী। সে দিন কারা ছিলেন বিরাটের সঙ্গে, জানেন এখন তাঁরা কে কী করছেন?
গৌতম গম্ভীর: ভারতীয় দলের এই ওপেনারটি সম্প্রতি সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর আইপিএলে খেলেছেন বহু দিন। নাইট অধিনায়ক হিসেবে সাফল্যও পেয়েছেন।
সুরেশ রায়না: সে দিন তিন নম্বরে নেমেছিলেন। বর্তমানে জাতীয় দলের বাইরে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির পছন্দের ক্রিকেটারটি। তবে আইপিএল এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি এখনও নিয়মিত।
যুবরাজ সিংহ: চার নম্বরে ব্যাট করতে এসেছিলেন যুবি। ভারতীয় দলে দীর্ঘ দিন রাজ করা এই বাঁহাতিও বর্তমানে জাতীয় দলের বাইরে। শেষ আইপিএল নিলামেও কষ্ট করে দল পেয়েছেন।
রোহিত শর্মা: এক দিন এবং টি-টোয়েটিতে ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক সে দিন পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে এসেছিলেন। সীমিত ওভারের ম্যাচে বর্তমানে ভারতীয় দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের নাম রোহিত।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি: অন্যতম সফল অধিনায়ক। দশ হাজারের বেশি রান করা ধোনি টেস্ট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। যদিও একদিনের ম্যাচে এখনও দলে রয়েছেন।
ইরফান পঠান: বেশ কিছু দিন হয়ে গেল জাতীয় দলে তিনি নেই। ২০০৭-এর টি২০ বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম সদস্যটি আইপিএলেও আর তেমন গুরুত্ব পাচ্ছেন না। বলা ভাল জাতীয় ক্রিকেট এক প্রকার গুড বাই করে দিয়েছে ইরফানকে।
হরভজন সিংহ: ভারতীয় দলের অন্যতম সেরা অফ স্পিনারটি বহু দিন জাতীয় দলের বাইরে। অশ্বিনের উত্থানের ফলে ভাজ্জির প্রভাব কমেছে জাতীয় দলে। তবে এখনও আইপিএল খেলছেন তিনি।
জাহির খান: ভারতের অন্যতম সফল পেসার। ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন।
প্রজ্ঞান ওঝা: জাতীয় দলের হয়ে ১৮টি একদিনের ম্যাচ খেলা ওঝা তেমন ভাবে দাগ কাটতে পারেননি। মাঝে কিছু দিন বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন। ২০১২ সালে ভারতের হয়ে শেষ এক দিনের ম্যাচ খেলেন।
মুনাফ পটেল: এক সময় ম্যাকগ্রার সঙ্গে তুলনা হতো মুনাফের। নাগাড়ে একই জায়গায় বল করে যাওয়ার ক্ষমতা ছিল তাঁর। ২০১১ সালে জাতীয় দলের হয়ে শেষ এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন।