ঘূর্ণি পিচে চাপে পড়ল পঞ্জাবই

যে দুই তরুণ বোলারকে ব্রাত্য করে রাখা হয়েছিল, সেই বাঁ হাতি স্পিনার প্রদীপ্ত প্রামানিক এবং পেস বোলার অলরাউন্ডার বি অমিতই দলকে প্রয়োজনীয় সাফল্য এনে দিলেন তিনটে করে উইকেট তুলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:১১
Share:

পঞ্জাবকে ১৪৭ রানে অল আউট করে দিয়ে রঞ্জি ট্রফির নক আউটে ওঠার আশা জাগিয়ে তুলল বাংলা। ব্যাট হাতেও সাবলীল বাংলার ওপেনাররা। দিনের শেষে তারা ৭৬-০। অভিষেক রামন ৪২ ও অভিমন্যু ঈশ্বরন ৩৩ রানে অপরাজিত। প্রথম ইনিংসে লিড থেকে মনোজ তিওয়ারির দল মাত্র ৭১ রানে পিছিয়ে।

Advertisement

যে দুই তরুণ বোলারকে ব্রাত্য করে রাখা হয়েছিল, সেই বাঁ হাতি স্পিনার প্রদীপ্ত প্রামানিক এবং পেস বোলার অলরাউন্ডার বি অমিতই দলকে প্রয়োজনীয় সাফল্য এনে দিলেন তিনটে করে উইকেট তুলে।

শুক্রবার অমৃতসরের গাঁধী গ্রাউন্ডের ঘূর্ণি উইকেটে টস জিতে পঞ্জাব প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে তাদের বিপদে ফেলে দেন বঙ্গ বোলাররা। বিশেষ করে প্রদীপ্ত ও অমিত। ন’ওভারে বিনা উইকেটে ৩১ রান তোলার পরে স্পিন ও পেসের এই জোড়া আক্রমণে পঞ্জাবের ব্যাটসম্যানরা বিপদে পড়ে যান। ২০ রানের মধ্যে তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেন প্রদীপ্ত ও অশোক ডিন্ডা। এর পরে পঞ্জাব শিবিরে হানা দেন ঈশান পোড়েল, অমিতরা। হরভজনকে ফিরিয়ে দেন অমিত। ঘূর্ণি উইকেটের আশায় মোহালি থেকে ম্যাচ হঠাৎ অমৃতসরে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল পঞ্জাব ক্রিকেট সংস্থা। কিন্তু তাদের সেই সিদ্ধান্তই এখন বুমেরাং হয়ে গেল। আরও একটা সিদ্ধান্তও প্রথম দিন বিফলে গেল পঞ্জাবের। অমৃতসর থেকে ফোনে প্রদীপ্ত বলেন, ‘‘আমাকে আমার স্বাভাবিক বোলিং করতে বলেছিলেন কোচ ও অধিনায়ক। সেটাই করেছি। কোনও চাপ নিইনি। শুরুতে একটু নার্ভাস ছিলাম ঠিকই। কিন্তু পরে উইকেট পেতে চাপ অনেক কমে যায়। প্রথম ম্যাচেই বাংলার জন্য কিছু করতে পেরে খুব ভাল লাগছে। ম্যাচটা জিততে পারলে আরও ভাল লাগবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement