‘দ্রাবিড় থাকলে আরও ভাল হত’

সৌরভদের কমিটিকে স্বাগত জানালেন কোহলি

গভীর রাতের ফাঁকা রাস্তা। হুহু করে গাড়ি চলবে। স্টিয়ারিং থাকবে তাঁর হাতে। পাশে বান্ধবী। এমনটাই তিনি চান। ঠিক সে জন্য তিনি— বিরাট কোহলি নিজের বাড়ি বদলে ফেলছেন। দিল্লির ট্র্যাফিক জ্যামের মধ্যে পাশে বান্ধবীকে বসিয়ে ঘুরতে চান না তিনি। সে জন্যই শীঘ্রই তাঁর পশ্চিম দিল্লির এলআইসি কলোনির বাড়ি ছাড়ছেন। উঠে যাচ্ছেন খোলামেলা গুরগাঁয়ের নতুন বাড়িতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৫ ০৪:০৫
Share:

গাড়ি-বিলাস। দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে বিরাট। ছবি: পিটিআই।

গভীর রাতের ফাঁকা রাস্তা। হুহু করে গাড়ি চলবে। স্টিয়ারিং থাকবে তাঁর হাতে। পাশে বান্ধবী।

Advertisement

এমনটাই তিনি চান। ঠিক সে জন্য তিনি— বিরাট কোহলি নিজের বাড়ি বদলে ফেলছেন। দিল্লির ট্র্যাফিক জ্যামের মধ্যে পাশে বান্ধবীকে বসিয়ে ঘুরতে চান না তিনি। সে জন্যই শীঘ্রই তাঁর পশ্চিম দিল্লির এলআইসি কলোনির বাড়ি ছাড়ছেন। উঠে যাচ্ছেন খোলামেলা গুরগাঁয়ের নতুন বাড়িতে।

আজ দিল্লিতে একটি ‘স্পোর্টস কার’-এর উদ্বোধনে এসে এক প্রশ্নের উত্তরে খবরটি দিলেন ভারতীয় দলের টেস্ট অধিনায়ক। দিল্লির যানজট ভরা রাস্তায় নিজের ভালবাসার মানুষকে নিয়ে ঘুরতে কি অস্বস্তি হয়? উত্তরে কোহলি হেসে বলেন “সেই জন্যই তো আমি পুরনো বাড়ি ছেড়ে খুব তাড়াতাড়ি উঠে যাচ্ছি গুরগাঁওয়ে আমার নতুন বাড়িতে। আর রাত এগারোটার পর গুরগাঁওয়ের ফাঁকা রাস্তায় আমার গাড়িতে নিজের ভালবাসার সঙ্গীকে নিয়ে ইচ্ছেমতো ঘুরতে আশা করি কোনও অসুবিধা হবে না!” ইতিমধ্যেই ক্রিস গেইলকে নিয়ে নিজের অডি গাড়িতে মাঝরাতে ঘুরিয়েছেন বিরাট।

Advertisement

বোর্ডের ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটিতে সচিন-সৌরভ-লক্ষণকে দেখে উচ্ছসিত বিরাট। তবে এই কমিটিতে তিনি দ্রাবিড়কে দেখতে চেয়েছিলেন। বললেন “এই কমিটিতে দ্র্যাবিড় থাকলে দারুণ হত। আমার মনে হয় দ্রাবিড়ের অন্য কোনও কাজ থাকায় এই কমিটিতে আসতে পারল না।”

কমিটি নিয়ে বিরাট আরও বলছেন, “আমার ভাল লাগছে এই জন্য যে সদ্য ক্রিকেট থেকে সরে যাওয়া তিন মহাতারকা রয়েছে কমিটিতে। ওরা বর্তমান ক্রিকেটারদের ব্যাপারে এবং তাদের সমস্যাগুলি যতটা বুঝবে ততটা হয়তো আরও বেশি বয়সের ক্রিকেটাররা ঠিক ধরতে পারবে না। আশা করছি, এতে ভারতীয় ক্রিকেটের উপকারই হবে।”

আর আসন্ন বাংলাদেশ সফরে রবি শাস্ত্রীকে টিম ডিরেক্টর হিসাবে রেখে দেওয়াটাকে আগেও সমর্থন করেছিলেন। আবারও করলেন। বললেন, ‘‘যত দিন শাস্ত্রী দলের সঙ্গে থাকবে, দলেরই ভাল। শাস্ত্রী থাকায় ড্রেসিংরুমের পরিবেশটা খোলামেলা হয়েছে।”

ক্যাপ্টেন হিসেবে মাঠে নামার আগে নিজের সামনে দুটো লক্ষ্য রাখছেন বিরাট। এক, খোলা মনে ক্রিকেটটা খেলতে। দুই, ড্রেসিংরুমে খোলামেলা পরিবেশ রেখে দিতে। ‘‘যাতে প্রত্যেক ক্রিকেটার খোলা মনে নিজের কথাটা বলতে পারে। তাতে সকলেই দলের জন্য এক হয়ে খেলবে,” বলে দিলেন ভারতের নতুন অধিনায়ক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন