sourav ganguly

৮৭ বছর পর রঞ্জি ট্রফি বন্ধ হওয়ায় মুখ ভার নায়কদের

দেশের সবচেয়ে পুরনো ক্রিকেট প্রতিযোগিতা বন্ধ হওয়া নিয়ে সরব ভারতীয় ক্রিকেট মহল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২১ ২০:০২
Share:

রঞ্জি বন্ধ হওয়া সব রাজ্য ক্রিকেট দলের কাছেই মারাত্মক ধাক্কা। মনে করেন নায়করা।

করোনা পরিস্থিতির জেরে রঞ্জি ট্রফি বন্ধ করতে বাধ্য হল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিসিসিআই। এই ঐতিহ্যশালী প্রতিযোগিতা আয়োজন করা নিয়ে গত কয়েকমাস ধরে বোর্ড কর্তারা সব রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন। তবে সমাধানসূত্র মেলেনি। হাতে সময়ও কম। আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলবে ভারতীয় দল। এপ্রিল-মে মাস থেকে দেশের মাটিতে আইপিএল আয়োজন করতে চাইছেন বোর্ড প্রধান সৌরভ। যদিও দেশের সবচেয়ে পুরনো ক্রিকেট প্রতিযোগিতা বন্ধ হওয়া নিয়ে সরব ভারতীয় ক্রিকেট মহল। এই বিষয়ে আনন্দবাজার ডিজিটালের কাছে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরলেন বাংলার কোচ অরুণ লাল, রঞ্জিতে সবথেকে বেশি রান ও শতরানের মালিক এবং এখন উত্তরাখণ্ড দলের কোচ ওয়াসিম জাফর এবং গত মরসুমে সৌরাষ্ট্রের রঞ্জি জয়ী অধিনায়ক জয়দেব উনাদকাট।

Advertisement

অরুণ লাল: রঞ্জি ট্রফি না হওয়া শুধু আমাদের নয়, সব রাজ্য ক্রিকেট দলের কাছেই মারাত্মক ধাক্কা। যাবতীয় পরিকল্পনা এই রঞ্জি ট্রফির জন্য তৈরি করা হয়। রঞ্জি ট্রফি খেললে একজন ক্রিকেটার যে সামাজিক মর্যাদা পায়, সেই সম্মান বিজয় হাজারে কিংবা সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি খেলে অর্জন করা যায় না। তাছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে সব কিছুই তো খুলে গিয়েছে। ট্রেন, বাস, বিমান পুরোদমে চলছে। সামনেই একাধিক রাজ্যে ভোট। টিভি খুললেই দেখছি একের পর এক রাজনৈতিক সমাবেশ চলছে। সেখানে তো করোনাবিধির বালাই নেই। আর খেলাধুলার বিষয় এলেই কোভিড বিধি এবং একের পর এক নিয়ম তৈরি করা হয়। জৈব বলয়ের মধ্যে থাকতে হয়। এই ব্যাপারেও কোনও যুক্তি খুঁজে পাই না। আমার ধারণা রঞ্জি আয়োজন নিয়ে বিসিসিআই যথেষ্ট তৎপরতা দেখায়নি।

ওয়াসিম জাফর: এই মরসুমে আমি উত্তরখণ্ডের দায়িত্বে আছি। ছেলেরা সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে ভাল খেলেছে। আশা করি বিজয় হাজারেতেও ভাল পারফর্ম করবে। কিন্তু এতে কোনও লাভ নেই। কারণ, রঞ্জি ট্রফিতে ভাল না খেললে আমাদের দল কখনও ‘প্লেট’ থেকে ‘এলিট’ গ্রুপে আসতে পারবে না। টাকাটাও একটা ফ্যাক্টর। সীমিত ওভারের ম্যাচ খেললে প্রতি ক্রিকেটার মাত্র ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা রোজগার করে। রঞ্জি খেললে ম্যাচ প্রতি পায় দেড় লাখ টাকা। আমাদের দেশে অনেক ক্রিকেটার আছে, যাদের চাকরি নেই। এই খেলার মাধ্যমেই ওদের সংসার চলে। তাই বোর্ড কর্তাদের এটা গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা উচিত।

Advertisement

জয়দেব উনাদকাট: শুনলাম রঞ্জি ট্রফি আয়োজিত না হলেও বোর্ড ক্রিকেটারদের প্রাপ্য অর্থ মিটিয়ে দেবে। উত্তম প্রস্তাব। তবে খেলা না হলে তো নতুন প্রতিভাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। সেটাও ভাল বিজ্ঞাপন নয়। যদিও আমাদের মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন