ভনকে একহাত নিয়েছেন রশিদ। ছবি টুইটারের সৌজন্যে।
আদিল রশিদকে নিয়ে বিতর্ক ক্রমশ বাড়ছে। ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের দলে তাঁর নির্বাচন নিয়ে বৃহস্পতিবারই প্রশ্ন তুলেছিল ইয়র্কশায়ার কাউন্টি। সমালোচনা করেছিলেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ভন। এ বার সমালোচকদের পালটা দিলেন আদিল রশিদ। ভনের মন্তব্যকে ‘স্টুপিড’ আখ্যা দিলেন লেগস্পিনার।
প্রসঙ্গত, কাউন্টি ক্রিকেটে লাল বলের ফরম্যাটে খেলছেন না রশিদ। ইয়র্কশায়ার কাউন্টির সঙ্গে তাঁর চুক্তি ছিল শুধু ওভারের ফরম্যাটে। তাই টেস্টের দলে তাঁর অন্তর্ভুক্তি মেনে নিতে পারছে না ইংল্যান্ড ক্রিকেটমহলের একাংশ। সমারসেটের দুই স্পিনার জ্যাক লিচ ও ডোম বেসকে টপকে রশিদের নির্বাচনে কাউন্টি ক্রিকেটের প্রতি অবহেলার ইঙ্গিত দেখছেন তাঁরা। ভনও টুইটারে এই সিদ্ধান্তকে ‘হাস্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। নিজের লেখাতেও তা জানিয়েছেন। ভনের মতে, “কাউন্টি ক্রিকেটের যে আর গুরুত্ব নেই, এটা যে প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে, সেই বার্তাই দেওয়া হল এর মাধ্যমে।”
তবে ভনের সমালোচনাকে একেবারেই পাত্তা দিচ্ছেন না রশিদ। এখনও পর্যন্ত ৪২.৭৮ গড়ে টেস্টে ৩৮ উইকেট নিয়েছেন তিনি। নজর কাড়ার মতো পারফরম্যান্স একেবারেই নয়। তিনি সাফ বলেছেন, “ভন যা প্রাণে চায় বলতেই পারেন। উনি হয়তো মনে করছেন যে লোকে ওঁর কথা শুনছে। কিন্তু আমার তা মনে হচ্ছে না। ওঁর মতামতে কারওর কিস্য়ু এসে-যায় না। বছরের শুরুতে বলেছিলাম যে লাল বলের ক্রিকেট আমি খেলব না। ভন তখন অন্যরকম টুইট করেছিলেন। তখনও নির্বোধের মতো মন্তব্য করেছিলেন। বিতর্ক তৈরি করেছিলেন। উনি কী বলেন, তাতে অনেকেরই কোনও আগ্রহ নেই। এটা হল ওঁর যা বক্তব্য, সেদিকে লোকেদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা।”
আরও পড়ুন: খেলা ছেড়ে রাজনীতিতে ইমরানের আগে আর কে ?
আরও পড়ুন: কুলদীপ সারপ্রাইজ প্যাকেজ, তবে চিন্তা অনভিজ্ঞতাই: প্রসন্ন
একদা সতীর্থ ভনের উদ্দেশ রশিদ আরও বলেন, “মনে হয় না ভনের কোনও অ্যাজেন্ডা রয়েছে আমার বিরুদ্ধে। আমি ওঁর বিরুদ্ধে খেলেছি, একসঙ্গেও খেলেছি। কখনও কখনও প্রাক্তন ক্রিকেটাররা বর্তমানদের সম্পর্কে উলটো-পালটা লেখে। উনি যদি ভাল কিছু বলার না পেয়ে এগুলোই বলতে থাকেন, তবে সেটা ওঁর পছন্দ। এগুলো থাকবেই। আমার তো কোনও দোষ নেই এতে।”
ইয়র্কশায়ার কাউন্টিকেও একহাত নিয়েছেন রশিদ। বলেছেন, “ওঁদের হতাশ হওয়ার কারণ রয়েছে। কিন্তু ভাল লাগত যদি ইয়র্কশায়ার কাউন্টির মুখ্য কার্যনির্বাহী বা প্রধান কোচ অন্য কথা বলতেন, টেস্ট দলে আসার জন্য অভিনন্দন জানাতেন। তা না করে ওঁরা রাগারাগি করলেন। এমন আচরণের কোনও কারণ ছিল না কিন্তু। আমি কোনও অন্যায় করিনি। কাউন্টির সমর্থন পেলে খুশি হতাম। ওরা যদি পাশে না থাকে, তবে সেটা ওদের সমস্যা।”
আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডের প্রথম টেস্টের দলে রশিদকে রাখায় বিতর্ক
আরও পড়ুন: কপিল থেকে আক্রম, সবাই আশা দেখছেন ইমরান নিয়ে