ময়দানের তথাকথিত ছোট দুই টিমের লিগের নির্বিষ ম্যাচে রক্তাক্ত হলেন রেফারি। কোচের বিরুদ্ধে এফআইআর করলেন ম্যাচ কমিশনার। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠে গেল প্রশ্ন।
মঙ্গলবার বারাসতে এরিয়ান বনাম আর্মি একাদশের ম্যাচ গোলশূন্য ভাবে শেষ হয়। আর এর পরেই তাণ্ডব চালান সেনা বাহিনী টিমের কোচ বিবি কক্কর এবং তাঁর সহকারী। ঘটনার সূত্রপাত অবশ্য ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট দুয়েক আগে। এরিয়ানের ফুটবলার পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে। রঘু নন্দীর টিমের ফুটবলার গৌতম ঠাকুর, যাঁর জার্সি নম্বর চব্বিশ, পায়ে টান ধরায় তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। এর আগে অবশ্য এরিয়ানের দু’টি পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল। গৌতমকে তোলার আবেদন নিয়ে এরিয়ানের ম্যানেজার চতুর্থ রেফারি উত্তম সরকারের কাছে যখন যান, সে সময়ে আবার এরিয়ানেরই জার্সি নম্বর এগারো প্রীতম্বর দাস অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাই গৌতমকে বাদ দিয়ে প্রীতম্বরকেই তোলার কথা বলা হয়। কিন্তু চতুর্থ রেফারি ভুল করে প্রীতম্বরের জার্সি নম্বরের জায়গায় গৌতমের জার্সি নম্বর দেখিয়ে দেন। মজার বিষয়, এত কাণ্ডের পর শেষ পর্যন্ত অবশ্য ফুটবলার পরিবর্তন করা যায়নি। কারণ ততক্ষণে খেলা শেষ হয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আর্মির কোচ কেন চতুর্থ রেফারিকে মারধর করলেন, সেটাই আশ্চর্যজনক ঘটনা। প্রথমে আর্মির সহকারী কোচ এসে চতুর্থ রেফারির সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়ান। পরে বিবি কক্কর এসে ঘুষি মেরে মুখ ফাটিয়ে দেন উত্তমের। এখানেই শেষ নয়। এর পরেও উত্তমকে ফেলে লাথি-ঘুষি মারতে থাকেন আর্মি কোচ। তাঁর সঙ্গে যোগ দেন সেনাবাহিনীর ফুটবলাররাও। অভিযোগ উঠেছে, পুলিশ মাঠে উপস্থিত থাকলেও কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। পরে ম্যাচ কমিশনার দীপক দাস জানান, ‘‘আমরা বিবি কক্করের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছি। আইএফএ-কেও বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিচ্ছি।’’