—প্রতীকী ছবি।
সেকেন্ড হ্যান্ড স্মার্টফোন কেনার সময় সাবধান! ভুল করে চুরি যাওয়া ডিভাইস কিনে ফেললে পুলিশের ঝক্কি সামলাতে হবে গ্রাহককেই। চলতি বছরের ২৭ নভেম্বর এই নিয়ে বিশেষ সার্কুলার জারি করেছে কেন্দ্র। সরকারের যুক্তি, এতে আটকানো যাবে স্মার্টফোনের চুরি। কী বলা আছে ওই নির্দেশিকায়? আনন্দবাজার ডট কম-এর এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।
টেলি যোগাযোগ দফতরের (ডিপার্টমেন্ট অফ টেলি কমিউনিকেশন) জারি করা সার্কুলারে বলা হয়েছে, এ বার থেকে কোনও ফোন কেনা বা বিক্রি করার সময় সংশ্লিষ্ট গ্রাহক বা বিক্রেতাকে তাদের ওয়েবসাইটে ঢুকে ডিভাইসটির আইএমইআই নম্বর লিখে তা পরীক্ষা করতে হবে। ওয়েবসাইটে নম্বরটি লিখলেই ফোনটিকে পুলিশ-প্রশাসন কালো তালিকাভুক্ত বা ব্ল্যাকলিস্টেড করেছেন কি না, সেটা জানতে পারবেন তারা।
এতে কী সুবিধা হবে, তা একটা উদাহরণের সাহায্যে বুঝে নেওয়া যেতে পারে। ধরা যাক, কোনও ব্যক্তি স্মার্টফোন চুরি করে তা বিক্রির চেষ্টা করলেন। অন্য দিকে তত ক্ষণে অভিযোগ পেয়ে ওই ডিভাইসকে কালো তালিকাভুক্ত করে দিয়েছে পুলিশ। তখন টেলি যোগাযোগ দফতরের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গ্রাহক বুঝতে পারবেন এটা চোরাই ফোন। এর পরও যদি তিনি ওই ফোন কেনেন, তা হলে ধরা পড়লে নির্ধারিত আইনের ধারায় শাস্তি ভোগ করতে হবে তাঁকে।
সরকারি সার্কুলারে দু’টি বিষয়ে আমজনতাকে সাবধান করা হয়েছে। প্রথমত, চুরি যাওয়া সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন ব্যবহারের সময় ধরা পড়লে কোনও যুক্তি দেওয়া যাবে না। ওয়েবসাইট দেখিনি বা ভুলে গিয়েছি বলে পার পাবেন না কোনও ব্যক্তি। দ্বিতীয়ত, ফোন চুরি গেলে দ্রুত নিকটবর্তী থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে সংশ্লিষ্ট ডিভাইসটিকে কালো তালিকাভুক্ত করার আর্জি জানাতে বলা হয়েছে। সারা দেশে এই নিয়ম চালু হওয়ায় ভিন্রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেও এই সুবিধা পাবেন ফোন ব্যবহারকারীরা।