গোলের পর সতীর্থ ফুটবলারের শুভেচ্ছা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে। ছবি: গেটি ইমেজেস
তাঁর সামনে ফেরেঙ্ক পুসকাসের কীর্তি স্পর্শ করার হাতছানি। পিছনে কর-বিতর্ক। কিন্তু তিনি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এই মুহূর্তে কনফেডারেশন্স কাপ জেতা ছাড়া অন্য কিছুই ভাবতে চান না।
আয়োজক রাশিয়াকে হারিয়ে সেমিফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল পর্তুগাল। শনিবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক পয়েন্ট পেলেই নিশ্চিত হয়ে যেত শেষ চারে খেলা। তাই এই ম্যাচে রোনাল্ডোকে বিশ্রাম দিতে চেয়েছিলেন কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোস। কিন্তু সি আর সেভেন জোর করেই মাঠে নামেন। ৪-০ গোলে নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে দেওয়া ম্যাচে রোনাল্ডোই এগিয়ে দেন পর্তুগালকে। ৩৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন তিনি। দেশের হয়ে ১৪২ ম্যাচে ৭৫ গোল করে ফেললেন চার বারের ব্যালন ডি’ওর জয়ী তারকা। ইউরোপের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার লড়াইয়ে তাঁর সামনে এখন শুধুই ৮৪ গোলের মালিক কিংবদন্তি পুসকাস।
শনিবার সেন্ট পিটার্সবার্গে নিউজিল্যান্ড-বধ করে সেমিফাইনালে ওঠার পরে রোনাল্ডো বলেছেন, ‘‘প্রথম গোলটা আমি করলেও আমার উদ্দেশ্য ছিল দলকে সাহায্য করা। আমাদের লক্ষ্য ছিল প্রথমার্ধেই জয় নিশ্চিত করে ফেলা। সেটা আমরা করতে পেরেছি।’’ সঙ্গে যোগ করলেন, ‘‘এ বার সেমিফাইনালের মতো কঠিন ম্যাচে আমাদের নামতে হবে। আশা করছি, জিতে কনফেডারেশন্স কাপের ফাইনালে আমরা উঠব।’’
দুরন্ত জয়ের রাতে সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামের মাঠ নিয়ে অবশ্য ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রোনাল্ডো। তিনি বলেছেন, ‘‘মাঠের ঘাস অত্যন্ত নিম্নমানের। এই মাঠে ভাল খেলা রীতিমতো কঠিন।’’ শেষ চারে পর্তুগালের প্রতিপক্ষ যে চিলে তখনও চূড়ান্ত হয়নি। তা সত্ত্বেও ম্যাচের পরই সেমিফাইনালের জন্য মানসিক প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন সি আর সেভেন। ড্রেসিংরুমেই সতীর্থদের উজ্জীবিত করেন তিনি। রোনাল্ডো বলছেন, ‘‘ওদের বলেছি, আমরা এখন যে পর্যায়ে পৌঁছেছি, সেটা সম্পূর্ণ আলাদা। আমাদের আরও শক্তিশালী হতে হবে। গোল করার জন্য যেমন ঝাঁপাতে হবে, তেমনই গোল খাওয়া চলবে না।’’