পর্তুগাল ০
অস্ট্রিয়া ০
দেশের হয়ে সবথেকে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডের দিনও হতাশা জুটল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর কপালে। আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে খারাপ পারফরম্যান্সের প্রায়শ্চিত্ত তো করা হলই না। উল্টে পেনাল্টি নষ্ট করে এ বারের ইউরোয় পর্তুগালকে প্রথম জয় এনে দিতে পারলেন না রোনাল্ডো।
প্রথমার্ধের শুরুর থেকে অস্ট্রিয়া আক্রমণাত্মক মেজাজেই শুরু করে। কিন্তু পর্তুগালও আস্তে আস্তে ম্যাচে প্রভাব ফেলে। জোয়াও মুটিনহো দুর্দান্ত সব পাস বাড়াতে থাকেন ফরোয়ার্ডদের। নানি প্রায় গোল করেই দিচ্ছিলেন। কিন্তু নানির হেড গিয়ে লাগে বারপোস্টে। আইসল্যান্ডে ম্যাচের তুলনায় এ দিন খুব বেশি কিছু করতে পারেননি রোনাল্ডো। দ্বিতীয়ার্ধে একটা দারুণ শট মেরেছিলেন। কর্নারে সেই চেনা স্পটজাম্পে হে়ড। ব্যস ওইটুকুই। তার উপরে আবার ফ্রি-কিকও নষ্ট করেন রোনাল্ডো। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের মাঝপথে সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন সিআর সেভেন। রোনাল্ডোকে খারাপ ট্যাকল করায় পেনাল্টি পায় পর্তুগাল। কিন্তু স্পটকিক থেকে পোস্টে মারেন রোনাল্ডো। পেনাল্টি নষ্টের খেসারত অবশ্য হেড দিয়ে গোল করে চোকাতে গিয়েছিলেন সিআর সেভেন। শুধু রোনাল্ডো অফসাইডে থাকায় গোলটা নাকচ করে দেওয়া হয়।
দুটো ম্যাচ ড্র করে পর্তুগালের পয়েন্ট ২। পরিস্থিতি যা তাতে শেষ ষোলোয় উঠতে গেলে হাঙ্গেরিকে হারাতেই হবে রোনাল্ডোদের।