বাংলাদেশের তিন ধরণের ক্রিকেটেই অপরিহার্য সাব্বির রহমান রুম্মান। এ বছর টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের বিরাট কোহালি (৬৪১) এবং রোহিত শর্মার (৪৯৭) পর রান সংগ্রহে অবস্থান সাব্বিরের ( ৪৬৩)। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ( বিসিবি) চুক্তিতে থাকা আর এক ক্রিকেটার আল আমিনও এ বছর টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটে ভারতের বুমরাহ (২৮) এবং অশ্বিনের (২৩) পর তৃতীয় সর্বাধিক উইকেট শিকারি (২২)। বছরের এই পারফরমেন্সও প্রতিহত করতে পারেনি বিসিবিকে। মাঠে পারফর্ম করে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)এ সর্বোচ্চ ইনিংসের পরও মাঠের বাইরের ঘটনায় অভিযুক্ত হতে হল রাজশাহি কিংস এর আইকন সাব্বির রহমান রুম্মান এবং বরিশাল বুলসের পেস বোলার আল আমিনকে।
সোমবার রাতে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে রংপুর রাইডার্সের আফগান ক্রিকেটার শাহাজাদার সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে ম্যাচ ফি’র ৩০ শতাংশ কাটা যাওয়ার পরও শিক্ষা নেননি সাব্বির রহমান। বিসিবির অনুমতি না নিয়ে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বিপক্ষে সিরিজ চলাকালে একটি এনার্জি ড্রিঙ্কসের বিজ্ঞাপনের মডেল হয়ে উত্তেজক দৃশ্যে শ্যুটিং করায় বিসিবি সাব্বিরকে সতর্ক করার পরও সতর্কিত হননি এই টপ অর্ডার। গত বছরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ চলাকালে ব্রিসবেনে টিম হোটেলে গভীর রাতে মদ্যপ অবস্থায় ফেরায় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে বিশ্বকাপ থেকে দেশে ফিরে আসতে হয়েছিল আল আমিনকে। সেই অতীতটাও মনে রাখেনি আল আমিন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি২০ চলাকালে মাঠের বাইরে বড় ধরনের কেলেঙ্কারির ঘটনা বিসিবির নজরে আসায় মঙ্গলবার রাতে ডিসিপ্লনারি কমিটি শাস্তি দিয়েছে সাব্বির রহমান এবং আল আমিন হোসেনকে।
বিপিএলের মধ্যে প্লাস গ্রেডের ক্রিকেটার সাব্বিরের মূল্য নির্ধারিত ছিল ৪০ লাখ টাকা। তার ৩০ শতাংশ কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। যে পরিমান অর্থ তার ফ্র্যাঞ্চাইজি রাজশাহি কিংসকে জমা দিতে হবে বিসিবির অ্যাকাউন্টে। সেখানে প্লেয়ার্স ড্রাফটে ২৫ লাখ টাকায় বিক্রি হওয়া বরিশাল বুলসের পেস বোলার আল আমিনের ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ কেটে দাঁড়াচ্ছে সাড়ে ১২ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে এত বড় অর্থদণ্ডের ঘটনা এটাই প্রথম। মঙ্গলবার রাতে বিসিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণ উল্লেখ করা হয়নি। এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি করলে আরও কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে বিসিবি। বুধবার বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব আই এইচ মল্লিক বলেন, ‘‘এটা ফিক্সিং সংক্রান্ত কোনও ঘটনা নয়। এটা পুরোপুরি একটা ইনডিসিপ্লিনের ঘটনা ছিল। টিম হোটেলে আমাদের দুই-তিনটি টিম কাজ করে। অ্যান্টি করাপশন ইউনিট, ইনটেলিজেন্স ইউনিটের রিপোর্টের ভিত্তিতে আমরা ওই দুই ক্রিকেটারকে বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’