সঙ্গাকারাকে গার্ড অফ অনার ভারতীয় ক্রিকেটারদের। ছবি: রয়টার্স।
কেরিয়ারের শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসেও সেই অশ্বিন-রাহানে যুগলবন্দির কাছেই হার মানতে হল সঙ্গাকরাকে। ৩২ রানে আউট হলেন তিনি। তবে সঙ্গা আউট হলেও হাফ সেঞ্চুরি করে দলকে টানলেন ওপেনার কৌশল সিলভা। দিনের শেষে শ্রীলঙ্কা ১৪০/৩। ভারতের থেকে পিছিয়ে ২৫৩ রানে।
দিনের শুরুতেই উইকেট হারালেও কলম্বোয় সম্মানজনক স্কোরই খাড়া করল ভারত। সৌজন্যে ঋদ্ধিমান সাহা এবং অমিত মিশ্র। দু’জনে মিলে সাড়ে তিনশোর গণ্ডিও পার করাল ভারতকে। শেষ পর্যন্ত ঋদ্ধির অর্ধ শতরানে ভর করে ৩৯৩ রানে শেষ হল ভারতের প্রথম ইনিংস। যা কলম্বোর পিচে বেশ ভাল স্কোর বলেই মনে করা হচ্ছে।
ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। উমেশ যাদবের বলে আউট হন করুনারত্নে।
প্রথম দিনের ৩১৯/৬ নিয়ে খেলতে নেমে দিনের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই অশ্বিনকে হারায় ভারত। অশ্বিনের জন্য প্রথম থেকেই শর্ট এক্সট্রা কভার রেখেছিলেন ম্যাথিউজ। ব্যাট হাতে একেবারই ফর্মে না থাকা ভারতীয় অফ স্পিনার সাধারণ লেংথ বলকে ক্যাচিং প্র্যাকটিসের মতো তুলে দেন শর্ট এক্সট্রা কভারের হাতে। ২০১৩ সালের পর থেকে শেষ ১৭ ইনিংসে একটিই অর্ধশতরান রয়েছে অশ্বিনের।
অশ্বিন আউট হলেও এক দিক আগলে ব্যাট করছিলেন ঋদ্ধি। অষ্টম উইকেটে অমিত মিশ্রর সঙ্গে মূল্যবান ৪৬ রানের পার্টনারশিপ করেন তিনি। ভাল খেলছিলেন অমিত। কিন্তু চামিরার গতির কাছে পরাস্ত হতে হয় তাঁকে।
অর্ধশতরানের করেন ঋদ্ধিও। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে যে ফর্মের ইঙ্গিত তিনি দিচ্ছিলেন, তারই প্রতিফলন হল আজ। ধৈর্যশীল ইনিংস খেলে দলকে চারশোর কাছাকাছি পৌঁছে দেন তিনি। পাশাপাশি করে ফেললেন টেস্টে তাঁর দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরিও। কিন্তু লাঞ্চের পর তিন ওভারের মধ্যেই গুটিয়ে যায় ভারতের ইনিংস। হেরাথের দু’ওভারের মধ্যে আউট হন ঋদ্ধিমান এবং ইশান্ত। চার উইকেট নিলেন শ্রীলঙ্কার বাঁহাতি।