গোলের পর গোল করে সালগাওকরকে আই লিগের অবনমন থেকে তিনি এ বার বাঁচিয়েছেন।
গোয়ার ক্লাব পুরো টুর্নামেন্টে গোল করেছে উনিশটি। তার মধ্যে এগারোটি গোলই তাঁর।
এ বারের আই লিগে র্যান্টি মার্টিন্সের পর তিনিই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। র্যান্টির মতোই বয়স তাঁকে গোলের সামনে থামাতে পারেনি।
সেই স্কটিশ স্ট্রাইকার ড্যারেল ডাফিকে এ বার সবুজ-মেরুন জার্সিতে খেলতে দেখা যাবে। বিশ্বকাপার কর্নেল গ্লেনকে ছাঁটাই করে স্কোরিং জোনে ‘ভয়ঙ্কর’ ডাফির সঙ্গে কথা চূড়ান্ত করে ফেলল মোহনবাগান। ক্লাব সূত্রের খবর, চুক্তিও হয়ে গিয়েছে। কলকাতা লিগ থেকেই ময়দানে তাঁকে খেলতে দেখা যাবে তাঁকে।
ডাফির সঙ্গে কথা চূড়ান্ত হলেও কলকাতা লিগের জন্য আর কোন বিদেশি নেওয়া হবে তা অবশ্য ঠিক হয়নি। কাতসুমি এবং সনি নর্ডিকে আই লিগ, ফেড কাপ এবং এ এফ সি কাপের জন্য পাওয়া যাবে। কারণ দু’জনেই আইএসএলে খেলবেন। কাতসুমির সঙ্গে চুক্তি আছে। সনি-ও বাগানেই এ বছর খেলবেন এ ব্যাপারে নিশ্চিত সবুজ-মেরুন কর্তারা। ফলে লুসিয়ানো সাব্রোসা না অন্য কেউ তা নিয়ে দোটানায় তাঁরা। সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহেই।
টিভি সত্ত্বেও টাকা না পেলে কলকাতা লিগের কোনও প্রদর্শনী ম্যাচ তাঁরা খেলবেন না, এটা প্রকাশ্যে জানিয়ে আইএফএ-র বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে মোহনবাগান। কিন্তু ডাফিকে মরসুমের শুরু থেকেই খেলানোর সিদ্ধান্তে একটা জিনিস পরিষ্কার যে, কলকাতা লিগের অন্য ম্যাচগুলিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন সৃঞ্জয়-দেবাশিসরা।
বাগানের এই মরসুমের অনুশীলন শুরু হচ্ছে রথযাত্রার দিন অর্থাৎ ৬ জুলাই। ক্লাবের মাঠে। ডাফির সঙ্গে যাঁরা মাঠে নামবেন সেই টিমটাও খারাপ হয়নি। বলবম্ত সিংহ, রাজু গায়োকওয়াড়, সঞ্জয় বালমুচু, আজহারউদ্দিন, পঙ্কজ মৌলা, রবিনসন, অর্ণব দাশ শর্মারা থাকছেন কলকাতা লিগের টিমে। সঞ্জয় সেন কোচ হিসাবে আই লিগ থেকে দায়িত্ব নিলেও ঘরোয়া লিগেও পরামর্শ দেবেন কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তীকে। ফিজিও গার্সিয়া-সহ গত বারের সাপোর্টিং স্টাফদের সবাইকেই রেখে দেওয়া হয়েছে। ক্লাবের এক শীর্ষ কর্তা বললেন, ‘‘কলকাতা লিগকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না এটা ঠিক নয়। তা হলে ডাফিকে শুরু থেকেই মাঠে নামাতাম না। আইএফএ আমাদের দাবি মানলে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলব।’’ ক্লাব সূত্রের খবর, টিমের স্পনসর সমস্যা মেটার পথে। তিন-চারটি কোম্পানির সঙ্গে কথা চলছে। যারা বেশি টাকা দেবে তাদের সঙ্গেই চুক্তি হবে।