পারভেজ রসুল, পঙ্কজ সিংহ, রাহুল শর্মা। ঘরোয়া ক্রিকেট, আইপিএল-এ চমক ধরানো সব সাফল্য। প্রত্যেকেরই দরজা খুলেছিল জাতীয় দলের। কিন্তু, জাতীয় দলে তেমন কিছু করতে পারেননি। বাদ পড়েন দল থেকে। আস্তে আস্তে হারিয়ে যেতে থাকেন। কারও আবার ফিটনেসের অভাব। কখনও ভাগ্য। প্রায় অস্তে চলে যাওয়া এমন কয়েকজন ক্রিকেটারকে মনে পড়ে কি না দেখুন তো।
পারভেজ রসুল: জম্মু-কাশ্মীর থেকে সুযোগ পেয়েছিলেন জাতীয় দলে। ২০১২-১৩ মরশুমে রঞ্জিতে সাফল্যের পর আইপিএল। দরজা খুলেছিল জাতীয় দলের। কিন্তু, সুযোগকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন পুরোপুরি। পরবর্তীতে কেদার যাদবের উত্থান জাতীয় দলের দরজা বন্ধ করে রসুলের জন্য।
পঙ্কজ সিংহ: রাজস্থানের এই লম্বা-ছিপছিপে বোলারটির ঘরোয়া ক্রিকেটে চমকে দেওয়া সাফল্য রয়েছে। কিন্তু, সুযোগ পেয়েছিলেন মাত্র একটি একদিনের ম্যাচে। সেই ম্যাচে একটিও উইকেট পাননি। সালটা ছিল ২০১৪। রাজস্থানের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে এখনও বেশ ভাল খেলছেন এই পেসার। তবে বুমরা-ভুবিদের যুগে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশ কম।
ফৈয়জ ফজল: অন্যতম ভাগ্যহীন ক্রিকেটার বলা চলে। মাত্র একটি ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন, করেছিলেন ৫৫ রান। কিন্তু, শিখর-রোহিতদের সাফল্য জাতীয় দলে ফজলের দরজা বন্ধ কার্যত বন্ধ করে দেয়।
ঋষি ধওয়ন: হিমাচলপ্রদেশের এই অল রাউন্ডারটিকে ভরসা করে দল নেওয়া হয়েছিল। সুযোগ পেয়েছিলেন তিনটি একদিনের ম্যাচ এবং একটি কুড়ি ওভারের ম্যাচে। তেমন কিছুই করতে পারেননি। জাতীয় দলে ফিরতে হলে ফিটনেসের পাশাপাশি ধারাবাহিকতার প্রমাণ দিতে হবে।
পরবিন্দর আওয়ানা: ২০১২ আইপিএল এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে চমকপ্রদ সাফল্য এই পেসারটির জন্য জাতীয় দলের দরজা খুলে দিয়েছিল। কিন্তু, ২০১২-তে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজে ডাক পেলেও প্রচুর রান দিয়ে হতাশ করেন নির্বাচকদের। এই মুহূর্তে ঘরোয়া ক্রিকেটেও আর তেমন ভাবে দেখা যায় না এই পেসারকে।
অভিমন্যু মিঠুন: ২০১০-এ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক। প্রথম কয়েকটি ম্যাচে চমক দেখিয়েছিলেন। কিন্তু, ধারাবাহিকতার অভাবে কর্নাটকের এই পেসারটি বেশি দিন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে পরতে পারেননি।
রাহুল শর্মা: পঞ্চম এবং ষষ্ঠ আইপিএলের অন্যতম সফল বোলার। ২০১২ তে জাতীয় দলে সুযোগও পেয়ে যান। কিন্তু, জাতীয় দলে সেই সাফল্যে সামন্যতমও দেখাতে পারলেন না। বর্তমানে রাজ্য দলেও আর সুযোগ পান না এই স্পিনার।
মুনাফ পটেল: ২০১১ বিশ্বকাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু, এই মিডিয়াম পেসারটি নিজের ফিটনেস একদম ধরে রাখতে পারেননি। ফলে দল থেকে বাদ পড়েন বার বার, সুযোগ পেলেও আর তেমন কিছু করতে পারেননি। সুযোগ পাননি শেষ আইপিএলেও।
প্রবীণ কুমার: বলের উপর সুন্দর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারতেন। সুইংয়ে দক্ষতা জাতীয় দলের দরজা খুলে দিয়েছিল। কিন্তু, অফ ফর্ম সঙ্গে চোট আঘাত, বাদ পড়ে গেলেন দল থেকে। এখন রাজ্য দলে সুযোগ পেতেই সমস্যায়।
প্রজ্ঞান ওঝা: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সচিনের ফেয়ারওয়েল ম্যাচে দশ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন। কিন্তু, এর পর রবীন্দ্র জাদেজার উত্থান যত দ্রুত হয়েছে, ততই পিছিয়ে গিয়েছেন এই বাঁ হাতি স্পিনার।