cricket

‘সব পাক পেসার বল বিকৃত করে’ বলায় চাকরি গিয়েছিল কাদিরের

চলে গেলেন আব্দুল কাদির। বিস্ময় স্পিনারের ১৬ বছরের ক্রিকেট জীবনে যেমন রয়েছে সাফল্যের অনন্য নজির, আবার তেমনই রয়েছে ব্যর্থতার নিদর্শন। শুক্রবার রাতে ৬৩ বছর বয়সে চলে গেলেন তিনি। কাদির বলতে কারও মনে পড়ে সচিনের হাতে তাঁর মার খাওয়া, কারও আবার তাঁর স্পিনের ভেলকি। দেখে নেওয়া যাক তাঁর বিষয়ে কিছু জানা-অজানা তথ্য।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১২:২৮
Share:
০১ ১৩

চলে গেলেন আব্দুল কাদির। বিস্ময় স্পিনারের ১৬ বছরের ক্রিকেট জীবনে যেমন রয়েছে সাফল্যের অনন্য নজির, আবার তেমনই রয়েছে ব্যর্থতার নিদর্শন। শুক্রবার রাতে ৬৩ বছর বয়সে চলে গেলেন তিনি। কাদির বলতে কারও মনে পড়ে সচিনের হাতে তাঁর মার খাওয়া, কারও আবার তাঁর স্পিনের ভেলকি। দেখে নেওয়া যাক তাঁর বিষয়ে কিছু জানা-অজানা তথ্য।

০২ ১৩

১৯৫৫ সালে পাকিস্তানের লাহৌরে তাঁর জন্ম। পুরো নাম আব্দুল কাদির খান। পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রথম খেলতে আসেন ১৯৭৫-’৭৬ মরশুমে। হাবিব ব্যাঙ্ক লিমিটেডের হয়ে শুরু তাঁর ক্রিকেট সফর।

Advertisement
০৩ ১৩

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন ১৯৭৭ সালে। ঘরের মাঠ লাহৌরেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট। ড্র হয়ে যাওয়া ম্যাচে সেই ভাবে ছাপ ফেলতে পারেননি তিনি। ২২ বছরের কাদিরের প্রথম শিকার ইংল্যান্ডের বব উইলিস।

০৪ ১৩

ভারতের কাছে অবশ্য আব্দুল কাদিরের নামের সঙ্গেই উঠে আসে সচিন তেন্ডুলকরের নাম। ১৯৮৯ সালে সচিনের প্রথম পাক সফরে বৃষ্টির জন্য ভেস্তে যাওয়া একটি একদিনের ম্যাচ খেলা হয় ২০ ওভার। সেই ম্যাচের আগে ১৬ বছরের সচিনকে খেলা শুরুর আগে স্লেজিং করেছিলেন কাদির।

০৫ ১৩

তাঁর জবাব ভারতীয় কিংবদন্তি দিয়েছিলেন ব্যাট দিয়ে। কাদিরের এক ওভারে চারটে ছয় মেরে সচিন বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁকে ইট ছুড়লে, পাটকেল খেতেই হবে। তৎকালীন বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা স্পিনারকে ওই আক্রমণ বুঝিয়ে দিয়েছিল, বিশ্ব ক্রিকেটকে শাসন করতে এসে গিয়েছে নতুন রাজা।

০৬ ১৩

কেরিয়ারে কাদির খেলেছেন ৬৭টি টেস্ট এবং ১০৪টি ওয়ান-ডে। তাঁর সংগ্রহে রয়েছে ২৩৬টি টেস্ট উইকেট এবং ১৩২টি একদিনের উইকেট। টেস্টে ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব রয়েছে ১৫ বার। ম্যাচে দশ উইকেট নিয়েছেন পাঁচ বার।

০৭ ১৩

টেস্টে তাঁর সেরা বোলিং ৫৬ রানে ৯ উইকেট। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৯৮৭ সালে লাহৌরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামেনিজের এই রেকর্ড করেন তিনি। একদিনের ক্রিকেটে সেরা বোলিং ১৯৮৩-র বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। ৪৪ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন সে দিন।

০৮ ১৩

ফিঙ্গার স্পিনার বিশ্ব ক্রিকেট অনেক পেলেও চাহালদের পূর্বসূরি কাদিরই প্রথম রিস্ট স্পিনার। তাঁর লেগ ব্রেক এবং গুগলি ত্রাস সৃষ্টি করত ব্যাটসম্যানদের মনে। তার সঙ্গে ছিল তাঁর অদ্ভুত বোলিং অ্যাকশন। অনেকে নাচের সঙ্গেও তুলনা করেছেন সেই বোলিং অ্যাকশনের।

০৯ ১৩

কাদিরের আরও এক ক্ষমতা তাঁকে আলাদা করে দেয় বাকি বোলারদের থেকে। তিনি এক ওভারের ছ’টি বল ছয় রকম ভাবে করতে পারতেন। যার মধ্যে গুগলি করতেন দুই রকমের। পাকিস্তানের অধিনায়ক ছিলেন পাঁচটি টেস্টে। যদিও সেই স্মৃতি সুখের ছিল না। পাঁচটির মধ্যে চারটি টেস্টেই হেরে যায় পাকিস্তান।

১০ ১৩

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন ১৯৯৩ সালে। যদিও টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন ১৯৯০ সালে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে খেলে।

১১ ১৩

খেলোয়াড় হিসেবে বিতর্কে না জড়ালেও ২০০৪ সালে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় সৃষ্টি হয় বিতর্ক। পাকিস্তান টেলিভিশন (পিটিভি)-এর হয়ে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় তিনি বলেন, “আমরা সবাই জানি সব পাকিস্তানি পেসার বল বিকৃত করে।” তাঁর এই বক্তব্য বিতর্ক সৃষ্টি করে। তাঁর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে দেয় সেই টিভি চ্যানেল।

১২ ১৩

২০০৮ সালে তাঁকে পাকিস্তানের মুখ্য নির্বাচকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু মুম্বই হামলার ফলে বাতিল হয়ে যায় ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ। শ্রীলঙ্কার টিমবাসে সন্ত্রাসী হামলার জন্য খেলা হয়নি সেই সিরিজও। শেষ হয়ে যায় কাদিরের নির্বাচক হিসেবে দ্বিতীয় ইনিংসে।

১৩ ১৩

ইংরেজ ওপেনার গ্রাহাম গুচ একবার এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, “শেন ওয়ার্নের থেকে কাদির অনেক ভাল স্পিনার ছিলেন।” রিচি বেনোর অল টাইম গ্রেটেস্ট ইলেভেনেও জায়গা পেয়েছিলেন কাদির।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement