সিনিয়রদের কড়া বার্তা সৌরভের

সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট শুরুর দিন কয়েক আগে বাংলা টিমের দুই সিনিয়রকে কড়া বার্তা দিয়ে রাখলেন সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। কোচ সাইরাজ বাহুতুলে সহ তাঁদের সিএবিতে ডেকে, বৈঠক করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৩:৫২
Share:

সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট শুরুর দিন কয়েক আগে বাংলা টিমের দুই সিনিয়রকে কড়া বার্তা দিয়ে রাখলেন সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। কোচ সাইরাজ বাহুতুলে সহ তাঁদের সিএবিতে ডেকে, বৈঠক করে।

Advertisement

এ দিন সিএবিতে বাংলা অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি, প্রাক্তন অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্ল এবং কোচ সাইরাজ বাহুতুলেকে নিয়ে বৈঠকে বসেন সৌরভ। শোনা গেল, বৈঠকে নাকি সিএবি প্রেসিডেন্ট টিমের দুই সিনিয়রের সামনে পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন যে, টিমে কোনও রকম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত করা হবে না। পারফরম্যান্সই শেষ কথা হবে। যা কোনও কোনও সিনিয়র মোটেও প্রত্যাশা অনুযায়ী করে দেখাতে পারছেন না। বাকি সব ভুলে খেলায় মন দিতে হবে। সামনেই জাতীয় টি-টোয়েন্টি। সেখানে ভাল করাটাই একমাত্র লক্ষ্য করতে হবে।

এমনিতেই দুই সিনিয়র লক্ষ্মী ও মনোজকে নিয়ে ময়দানি জল্পনা হল, দু’জন থাকলে টিম আপনাআপনি দু’টো ভাগে ভাগ হয়ে যায়। যার প্রভাব নাকি পড়ে পারফরম্যান্সে। যে ধারণায় নতুন ঘৃতাহুতি হয়েছে সাম্প্রতিকে বিজয় হাজারে (রঞ্জি একদিনের টুর্নামেন্ট) ট্রফিতে টিমের বিশ্রী হারের পর। রঞ্জিতে দারুণ খেলে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পর বাংলা একদিনের টুর্নামেন্টে গ্রুপ-পর্ব তো পেরোতে পারেইনি, বরং টিমের কয়েক জন সিনিয়রের পারফরম্যান্স নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। টুর্নামেন্ট থেকে ফেরার পর কোচ, অধিনায়ক দুই ম্যানেজার সবার থেকে নাকি আলাদা আলাদা রিপোর্ট নিয়েছিলেন সিএবি প্রেসিডেন্ট। যেখানে এটাও নাকি জানতে চাওয়া হয়েছিল, রঞ্জি এবং বিজয় হাজারে দু’টো টুর্নামেন্টে ড্রেসিংরুমের আবহাওয়া কী রকম ছিল। মনে করা হচ্ছে সেই কারণেই এমন বৈঠক। যেখানে বার্তা দিয়ে রাখা হল যে, টিমের পারফরম্যান্সের সঙ্গে কোনও ভাবে আপস করা হবে না। লক্ষ্মীকে তো বটেই, শোনা গেল অধিনায়ককেও নাকি এটা বলা হয়েছে যে টিমে যাতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব না হয়, সেটা দেখতে।

Advertisement

একই দিনে অবশ্য আরও একটা ঘটনা ঘটে থাকল। জেসি মুখোপাধ্যায় ট্রফিতে ইউনাইটেড ক্লাব বনাম টালিগঞ্জ অগ্রগামী ম্যাচে নিজের টিমের সতীর্থের সঙ্গে সংঘর্ষে হাঁটু ভাঙলেন টালিগঞ্জের স্পিনার ইরেশ সাক্সেনা। তাঁকে নাইটিঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রশ্ন ওঠে, অ্যাপোলোর সঙ্গে সিএবির চুক্তি থাকা সত্ত্বেও কেন সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়নি? প্রয়াত অঙ্কিত কেশরীর দুর্ঘটনা ওই হাসপাতালে ঘটেছিল, তার পর কেন বারবার চোটগ্রস্ত ক্রিকেটারদের সেই নাইটিঙ্গলেই পাঠানো হচ্ছে? সিএবি-র বক্তব্য, অ্যাপোলো-নাইটিঙ্গল দু’টো হাসপাতালের সঙ্গেই সিএবির চুক্তি আছে। এ বার চোটগ্রস্ত ক্রিকেটার কোথায় যাবে ঠিক করবে ক্লাব। সিএবি নয়। সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য প্রশ্ন উড়িয়ে বলে দিলেন, ‘‘নাইটিঙ্গল মাঠ থেকে কাছে বলে ওখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর ঋতম তো ওখান থেকে সুস্থও হল। তবে ক্লাব যে হাসপাতালে চাইবে, ক্রিকেটারকে সেখানেই রাখা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন