যৌন হেনস্থা রুখতে

মেয়ে ক্রীড়াবিদদের জন্য মহিলা কোচ চায় রাজ্য

কেরলে বুধবারই হেনস্থার শিকার হয়ে সাই-এর চার অ্যাথলিট আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তাদের এক জনের মৃত্যু হয়েছে। তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত বছর ফেব্রুয়ারি, অগস্ট এবং নভেম্বরে ভারতীয় খেলাধুলো তিনটি ন্যক্কারজনক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে। তিনটি ক্ষেত্রেই পুরুষ কোচেদের যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন সাত মহিলা ক্রীড়াবিদ। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই কোচেদের সাসপেন্ড করা হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৫ ০৩:৪৫
Share:

কেরলে বুধবারই হেনস্থার শিকার হয়ে সাই-এর চার অ্যাথলিট আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তাদের এক জনের মৃত্যু হয়েছে। তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

Advertisement

গত বছর ফেব্রুয়ারি, অগস্ট এবং নভেম্বরে ভারতীয় খেলাধুলো তিনটি ন্যক্কারজনক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে। তিনটি ক্ষেত্রেই পুরুষ কোচেদের যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন সাত মহিলা ক্রীড়াবিদ। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই কোচেদের সাসপেন্ড করা হয়েছিল।

ক্রীড়াক্ষেত্রে মেয়েদের যৌন হেনস্থা এড়াতে এ বার নতুন নিয়ম তৈরি করতে চলেছে রাজ্য সরকার ও বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। সরাসরি যৌন হয়রানির কথা বলা হচ্ছে না ঠিকই, তবে আজ শুক্রবার দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনায় রাজ্যের খেলাধুলো নিয়ে একটি যৌথ সিদ্ধান্ত বা নিয়মাবলী তৈরি হতে চলেছে। সেখানে ঘুরিয়ে বলে দেওয়া হচ্ছে, মেয়েদের টিমের জন্য মেয়ে কোচ ও ম্যানেজারকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে অ্যাসোসিয়েশনকে। বিশেষ করে সাঁতার, জিমন্যাস্টিক্সের মতো খেলাগুলিতে তা বেশি করে কার্যকর করতে হবে। যে খেলাগুলিতে ছেলে এবং মেয়েদের টিম একসঙ্গে হবে, সেখানেও মেয়ে কোচ রাখার নিয়ম চালু করতে হবে। বিওএ-র এক প্রভাবশীলা কর্তা বৃহস্পতিবার বললেন, ‘‘রাজ্য সরকারের পাঠানো খসড়া নিয়মাবলির সঙ্গে আমরা একমত। মেয়ে অ্যাথলিটরা নানা সময়ে পুরুষ কোচেদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন। আমরা ক্রীড়া দফতরকে বলব, একটা গ্রিভান্স কমিটি গড়ে দিতে। তারাই যাতে সব খেলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়।’’

Advertisement

এ দিনের সভায় সরকার রাজ্যের খেলাগুলিকে নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। অন্য রাজ্য অবশ্য যা আগেই করেছে। তিনটি ভাগে ভাগ করা হবে খেলাগুলিকে। বারোটি খেলাকে রাখা হয়েছে ‘এ’ গ্রুপে। সেই অনুযায়ী তাদের আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে। জাতীয় স্তরে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে এ বার থেকে আর্থিক সাহায্য পাবে সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশন। প্রথম চারের মধ্যে থাকলে অনেক বেশি সাহায্য পাওয়া যাবে। এতে মুড়ি-মিছরি এক হয়ে যাবে না। রাজ্যের বেশির ভাগ ছোট খেলাই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ। একই খেলার দুই বা তিনটি অ্যাসোসিয়েশন। আজকের সভায় যৌথ সিদ্ধান্ত হতে চলেছে, সর্বভারতীয় সংস্থা যে অ্যাসোসিয়েশনকে স্বীকৃতি দেবে তাদেরই আর্থিক সহায়তা করবে রাজ্য সরকার ও বিওএ।

প্রতিবারই জাতীয় টুর্নামেন্ট বা জাতীয় গেমসের দল গঠন নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠে। কেরল গেমসের সময়ও উঠেছিল। এ বার থেকে বিওএ দল নির্বাচনের সময় পরিদর্শক নিয়োগ করতে পারবে। যাঁর রিপোর্টের উপরই দল গঠন হবে। তিনি যদি অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তা হলে কড়া ব্যবস্থা নেবে সরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন