দেশের ডোপ বিরোধী সংস্থা নাডার কাছে আবেদন করবেন বলে ঠিক করেছেন সুব্রত পাল। বাংলার তারকা গোলকিপার জড়িয়ে গিয়েছেন ডোপ-বিতর্কে। তাঁর ‘এ’ নমুনা পজিটিভ এসেছে। সুব্রত ‘বি’ নমুনা নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারতেন। সেটা এখনই তিনি করছেন না। পাশাপাশি, চুপচাপও বসে থাকছেন না। নাডার কাছে তিনি লিখছেন যে, নিষিদ্ধ টার্বুটালিন নেওয়া মোটেও ইচ্ছাকৃত ঘটনা নয়।
তা হলে কী ঘটেছিল? বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, সুব্রতকে একটি কাশির ওষুধ নিতে বলেছিলেন সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের নিযুক্ত ডাক্তার। সেই সময় ভারতীয় দলের সঙ্গেই ছিলেন তিনি। সেই ওষুধেই নিষিদ্ধ টার্বুটালিন ছিল বলে দাবি। সুব্রত সেই ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনের কপি-সহ নাডায় তাঁর বিশ্লেষণ জমা দিচ্ছেন। তাতে এমন কথাও লিখতে চলেছেন যে, ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হলেও তিনি ইচ্ছাকৃত ভাবে এই নিষিদ্ধ ওষুধ নিয়েছেন, এমন নয়। অসুস্থতার কারণে ডাক্তারের দেওয়া অন্য একটি ওষুধ নিতে গিয়ে এই নিষিদ্ধ দ্রব্য ঢুকে পড়ে তাঁর শরীরে। ভারতীয় ফুটবলে ‘স্পাইডারম্যান’ বলে পরিচিত সুব্রত কি এমন বিশ্লেষণ বা আবেদন জমা দিয়ে শাস্তির হাত থেকে বেঁচে যেতে পারেন? ওয়াকিবহাল মহলে কেউ কেউ মনে করছেন, সংশ্লিষ্ট ডাক্তার সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সরকারি ডাক্তার হলে বাঁচার সম্ভাবনা থাকলেও থাকতে পারে। অনুমান মতো সুব্রত যদি সেই প্রেসক্রিপশনের কপি জমা দিতে পারেন, তা হলে তাঁর ঘটনা পুনর্বিবেচনা করার মতো জায়গা থাকতে পারে বলেও কারও কারও মনে হচ্ছে। আবার অন্য একটি মহল মনে করছে, সুব্রতর অজ্ঞতা এ ক্ষেত্রে খুব গুরুত্ব না-ও পেতে পারে। যেমন সদ্য ডোপ কেলেঙ্কারির নির্বাসন কাটিয়ে ফেরা মারিয়া শারাপোভা দাবি করেছিলেন, তিনি জানতেনই না যে, তাঁর নেওয়া ওষুধটি নতুন নিষিদ্ধ তালিকায় ঢুকে পড়েছে। ডোপ পরীক্ষার ক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের অজ্ঞতাকে প্রশ্রয় দেওয়া হয় না। যদি নাডা অনড়ই থাকে, তা হলে কী হবে বলা কঠিন। আবার প্রেসক্রিপশন দেখে সুব্রতকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয় কি না, সেটাও দেখার।