ট্রফি জিতে যন্ত্রণা ভুললেন সুনীল

শুক্রবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয়ের পরেই সতীর্থদের নিয়ে গ্যালারির সামনে যান উচ্ছ্বসিত বেঙ্গালুরু এফ সি অধিনায়ক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:৫৯
Share:

নায়ক: জোড়া গোল করে ম্যাচের সেরা সুনীল ছেত্রী। ছবি: এআইএফএফ

ইস্টবেঙ্গল ১ : বেঙ্গালুরু এফ সি ৪

Advertisement

গত মরসুমে চোটের কারণে ফেডারেশন কাপ ফাইনালে খেলতে পারেননি তিনি। যদিও মোহনবাগানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তাঁর দল বেঙ্গালুরু এফ সি। মাস খানেক আগে চেন্নাইয়িন এফ সি-র বিরুদ্ধে হেরে আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্নও ভেঙে গিয়েছিল তাঁর। তাই সুপার কাপ জিতেই সব যন্ত্রণা ভুলতে চেয়েছিলেন তিনি, সুনীল ছেত্রী।

শুক্রবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয়ের পরেই সতীর্থদের নিয়ে গ্যালারির সামনে যান উচ্ছ্বসিত বেঙ্গালুরু এফ সি অধিনায়ক। প্রিয় দলকে সমর্থন করতে বেঙ্গালুরু থেকে ভুবনেশ্বরে এসেছিলেন সমর্থকরা। তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়ে সুনীল বললেন, ‘‘আমরা সব টুর্নামেন্টেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে নামি। অনেক সময় হয়তো স্বপ্নপূরণ হয় না। তাই সুপার কাপ জিতে খুব আনন্দ হচ্ছে।’’ উচ্ছ্বসিত সুনীল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে পাওয়া পদকটি স্ত্রী সোনমকে পরিয়ে দেন।

Advertisement

আইএসএলে ব্যর্থতার যন্ত্রণা কি কিছুটা কমল? সুনীল বললেন, ‘‘যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। আইএসএলের ব্যর্থতা নিয়ে এখন আর কান্নাকাটি করতে চাই না।’’ তবে ইস্টবেঙ্গল দশ জন যাওয়ায় যে তাঁদের সুবিধা হয়েছে, স্বীকার করে নিয়েছেন সুনীল। তাঁর কথায়, ‘‘প্রচণ্ড গরমে দশ জনে খেলা কঠিন। আগের ম্যাচে (মোহনবাগানের বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল) আমাদের খেলতে সমস্যা হয়েছিল। বাড়তি পরিশ্রম করতে হয়েছিল। তাই এ দিন ইস্টবেঙ্গল দশ জন হয়ে যাওয়ার পরে আমাদের কিছুটা সুবিধাই হয়েছিল।’’ তার পরেই বেঙ্গালুরু অধিনায়কের সংযোজন, ‘‘সুযোগের সদ্ব্যবহার করাটাও কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সেটা করতে পেরেছি বলেই ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে জিতেছি।’’ সুপার কাপ জয়ের উচ্ছ্বাসের মধ্যেই জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন সুনীল। কার্ড সমস্যায় এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে কিরঘিজস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে বাদ পড়েছিলেন তিনি। সুপার কাপ জিতে সুনীল বললেন, ‘‘জাতীয় দলে দ্রুত ফিরতে চাই।’’

মাত্র পাঁচ বছরের পুরনো ক্লাব বেঙ্গালুরু সাফল্য চমকে দেওয়ার মতো। রহস্যটা কী? সুনীল বললেন, ‘‘ফুটবলের উন্নতির জন্য যা করা দরকার, তা করেছে ক্লাব। আমাদের কোনও কিছুর অভাব রাখেনি। দ্বিতীয়ত, আমরা একটা পরিবারের মতো। যা আমাদের সাফল্যের অন্যতম কারণ।’’ কোচ আলবের্তো রোকার হুঙ্কার, ‘‘ভারতীয় ফুটবলে আমরাই যে সেরা, প্রমাণ করলাম।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement