লখনউতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে সিরিজ জিতলেন রোহিত-খলিলরা। রীতিমতো ছেলেখেলা করে দেশবাসীকে দেওয়ালির এক দারুণ উপহার দিল টিম ইন্ডিয়া। তবে এই প্রথম নয়, দেওয়ালির সপ্তাহে এমনই কিছু স্মরণীয় জয় রয়েছে ভারতীয় দলের। একবার সে দিকে চোখ ফেরানো যাক।
২০১১ অক্টোবরে কলকাতায় ভারত-ইংল্যান্ডের ম্যাচ। টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠালেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক কুক। ধোনির নেতৃত্বাধীন টিম ইন্ডিয়া তুলল ২৭১ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম উইকেটে ১২৯ রান করে ফেলেছিলেন ব্রিটিশ ব্যাটসম্যানরা। এর পরই ধস নামালেন অশ্বীন আর জাডেজা। ১৭৬ রানে শেষ হয়ে গেল কুক বাহিনী।
১৯৮৭, রিলায়্যান্স বিশ্বকাপে টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠাল অস্ট্রেলিয়া। গাওস্কর, সিধু, আজহারদের ব্যাটে ভর করে ২৮৯ তুলেছিল কপিল দেবের ভারত। সময়ের বিচারে যা বেশ ভাল স্কোর।
ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া মাত্র এক উইকেটে ১০০ রানে তুলে ফেলেছিল। তখনই মনিন্দর সিংহ, রবি শাস্ত্রীর স্পিন, পরবর্তীতে বোলার আজহারের দাপটে ৫৬ রানে জিতে যায় ইন্ডিয়া।
১৯৯৩-এ কলকাতায় হিরো কাপে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি ভারত। প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১৯৫ রান তুলেছিল আজহারের নেতৃত্বাধীন ভারত।
রান প্রায় তুলে ফেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ওভারে দরকার ছিল ছয় রান, হাতে দুই উইকেট। অধিনায়ক বল তুলে দিয়েছিলেন সচিনের হাতে। বোলার সচিনের জাদুতে তিন রানে ম্যাচ জেতে ভারত।
২০১৬ অক্টোবরে ভারত-নিউজিল্যান্ড পঞ্চম এক দিনের ম্যাচ। সিরিজ তখন সমান সমান। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে রোহিত-বিরাটের ব্যাটে ভর করে ২৬৯ রানে তোলে ভারত।
শুরুটা ভালই করেছিল নিউজিল্যান্ড। দ্বাদশ ওভারে অমিত মিশ্রর হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন অধিনায়ক ধোনি। মিশ্রার ঘূর্ণিতে আর দাঁড়াতে পারেননি কিউইরা। ১৯০ রানে জেতে ভারত। মিশ্র পান পাঁচ উইকেট।
২০১৫ সালে জয়পুরে শ্রীলঙ্কা প্রথমে ব্যাট করে বিশাল রান তুলে ফেলে। শতরান করেন সঙ্গকারা। ভারতের টার্গেট ছিল ২৯৯। এই রান তোলার জন্য ভারতের ভরসা হয়ে ওঠেন ধোনি।
কিন্তু, শুরুতেই ধাক্কা লাগে ভারতীয় ব্যাটিংয়ে। বিশেষ কিছু করতে পারেননি সচিন। সে দিন রুখে দাঁড়ান মাহি। ১৪৫ বলে ১৮৩ রানে অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন। ২৩ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে যায় ভারত।