কাঁদছেন হিমা। সোনার পদক গলায়। ছবি টুইটারের সৌজন্যে।
নেপথ্যে বাজছে জনগণমন অধিনায়ক। আর পোডিয়ামে দাঁড়ানো হিমা দাসের দু’চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে জল। যা হয়ে উঠছে দেশপ্রেমের জলজ্যান্ত উদাহরণ।
ফিনল্যান্ডে জুনিয়র বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সের ৪০০ মিটার দৌড়ে সোনা জেতার পরই তেরঙা নিয়ে উত্সবে মেতে উঠেছিলেন অসমের ১৮ বছর বয়সি। সেই তেরঙাই সঙ্গী ছিল বিদেশি টিভি সাংবাদিককে ইন্টারভিউ দেওয়ার সময়। দু’হাতে জাতীয় পতাকা জড়িয়ে ধরেছিলেন শরীরে।
তার কিছুক্ষণ পরেই দেওয়া হয়েছিল পদক। পোডিয়ামে তিনি দাঁড়িয়ে। দুই পাশে রুপো ও ব্রোঞ্জ জয়ীরা। সবার ওপরে তিনি। জাতীয় সঙ্গীত বাজার সময় হিমার চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ল জল। আনন্দের অশ্রু তো বটেই। কৃষকের বাড়িতে জন্মে অজস্র প্রতিকূলতা টপকে সফল হওয়ার তৃপ্তিও যেন মিশে থাকল তাতে। তবে সবচেয়ে বেশি থাকল দেশপ্রেম। নিঃশব্দ কান্না হয়ে উঠল দেশপ্রেমের প্রতীক।
ভারতীয় খেলাধূলার ইতিহাসে অমর হয়ে থাকল এই ফ্রেম। বাজছে জাতীয় সঙ্গীত। সোনার পদক গলায় কাঁদছেন হিমা। নড়ছে ঠোঁট। গলা মেলাচ্ছেন জনগণমনের সঙ্গে। দেশকে গর্বিত করা সোনার মেয়ে আরও একবার মুগ্ধ করলেন দেশাত্মবোধে।
আরও পড়ুন: মনে হচ্ছে স্বপ্ন, সোনা জিতে বললেন হিমা
আরও পড়ুন: টুইট করে বিতর্কে জড়াল ফেডারেশন