মাঠেই পেটে চোট, খুদে ফুটবলারের অস্ত্রোপচার

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিদ্যালয় ক্রীড়া সংসদের আয়োজনে গত ২৩ ও ২৪ জুলাই ঘাটালে অনূর্ধ্ব ১৭ ছেলেদের বিভাগের আন্তঃ জেলা ফুটবল প্রতিযোগিতার আসর বসে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল ও জিয়াগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৯ ০১:০২
Share:

প্রতীকী ছবি।

আন্তঃ জেলা সুব্রত কাপের খেলায় ভিন্‌ জেলায় এসে গুরুতর জখম হল মুর্শিদাবাদের এক কিশোর ফুটবলার। সুনিলাল সর্দার নামে দশম শ্রেণির ওই ছাত্রের পেটে আঘাত লাগে। বৃহস্পতিবার সকালে এসএসকেএমে অস্ত্রোপচার হয়েছে সুনিলালের। সে এখন আইসিইউ-তে ভর্তি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আরও ৭২ ঘন্টা পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।

Advertisement

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিদ্যালয় ক্রীড়া সংসদের আয়োজনে গত ২৩ ও ২৪ জুলাই ঘাটালে অনূর্ধ্ব ১৭ ছেলেদের বিভাগের আন্তঃ জেলা ফুটবল প্রতিযোগিতার আসর বসে। যোগ দিয়েছিল মোট সাত’টি জেলার চ্যাম্পিয়ন স্কুলের দল। গত মঙ্গলবার ঘাটাল অরবিন্দ স্টেডিয়ামে আন্তঃজেলা সুব্রত কাপের খেলায় মুখোমুখি হয় মুর্শিদাবাদের মুকুন্দবাগ হাইস্কুল ও পুরুলিয়ার বড় উরমা হাইস্কুল। খেলা চলাকালীনই পেটে চোট পায় মুকুন্দবাগ হাইস্কুলের ছাত্র সুনিলাল। খেলার প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় পুরুলিয়ার ছেলেরা। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা চলাকালীন মুর্শিদাবাদের স্ট্রাইকার সুনিলাল পুরুলিয়ার বক্সে বল নিয়ে ঢোকে। সামনে গোলকিপার ছাড়া আর কেউ ছিল না। পুরুলিয়ার গোলকিপারের হাঁটুতেই সুনিলালের পেটে জোর আঘাত লাগে। মাঠেই যন্ত্রণায় কাতরাতে শুরু করে সুনিলাল।

মাঠে অ্যাম্বুল্যান্স ছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ঘাটাল মহকুমা হসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় বুধবার রাতে তাকে এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয়। বুধবার রাতে তাকে কলকাতায় নিয়ে যান রাজ্য বিদ্যালয় ক্রীড়া সংসদের সহ-সম্পাদক দোলা মিত্র-সহ একাধিক ক্রীড়া কর্তারা। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা বিদ্যালয় ক্রীড়া সংসদের সম্পাদক সোমনাথ দাস বলেন, ‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমরা খেলার মাঠে অ্যাম্বুল্যান্স-সহ প্রাথমিক চিকিৎসার সব রকম ব্যবস্থা করেছিলাম। পাশেই মহকুমা হাসপাতাল থাকায় ঘটনার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই চিকিৎসা শুরু করা গিয়েছে।’’ রাজ্য বিদ্যালয় ক্রীড়া সংসদের সম্পাদক দিলীপ যাদবের কথায়, ‘‘ছেলেটির চিকিৎসার জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। আশা করি সুনিলাল কয়েক দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারবে।’’

Advertisement

সুনিলালের বাড়ি জিয়াগঞ্জের কুসুমখোলা গ্রামে। বাবার নাম সুধীর সর্দার দিনমজুর। সংসার চালাতে মা-ও দিনমজুরি করেন। জিয়াগঞ্জ মুকুন্দবাগ হাইস্কুলের ছাত্রাবাসে থেকেই পড়াশোনা করে সুনিলাল। সুনিলালের সঙ্গে এসএসকেএমে রয়েছেন বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক মহম্মদ হামিদ আলি। তিনি বলেন, ‘‘সুনিলাল পেটের ভিতরে গুরুতর আঘাত পেয়েছে।’’ ওই ছাত্রের স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাসুদেব সরকারও কলকাতা রওনা হচ্ছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন