১৪ বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু লর্ডসের ব্যালকনিতে অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জার্সি ঘোরানোর ছবি আজও ক্রিকেটপ্রেমীদের গায়ে শিহরণ জাগায়। আর ওই টান টান উত্তেজনার শেষটা ব্যাট হাতে যিনি ক্রিজে ছিলেন সেই মহম্মদ কাইফের অবস্থাটা একবার ভাবুন তো। ১৩ জুলাই ২০০২। ভারতের সামনে ৩২৬ রানের লক্ষ্য রেখেছিল ইংল্যান্ড। লর্ডসের মাটিতে ফাইনালের মতো আসরে এই রান করা সহজ ছিল না। শেষ ওভারে দরকার ছিল ২ রান। তখন ব্যাট করছিলেন জাহির খান আর মহম্মদ কাইফ। ৪৯ ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানটা কমিয়ে ফেলেছিলেন কাইফ স্বয়ং। শেষ ওভারের তৃতীয় বলেই সেই প্রয়োজনীয় ২ রান তুলে নেন জাহির খান। এত বড়় রানের লক্ষ্যে নেমে জয়ের আশা করেননি স্বয়ং কাইফ। ন্যাট ওয়েস্ট জয়ের ১৪ বছরে এসে সে কথা স্বীকার করে নিলেন স্বয়ং কাইফ। বলেন, ‘‘আমি আশাই করিনি এই ম্যাচ জেতা যায়। সৌরভ বলেছিল আমি যদি সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৩০ বলে ৩০ রান করতে পারি সেটা একজন ওপেনারের সেঞ্চুরির সমান।’’ ৪২ ওভারে ৬৯ রান করে যুবরাজ সিংহর মতো বিগ হিটার আউট হওয়ার পর সিচুয়েশন আরও কঠিন হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে দলকে বের করে আনা প্রয়োজন ছিল। তখনও জিততে হলে ৫৯ রান দরকার ছিল।
কাইফ বলেন, ‘‘আমি কখনও ভুলতে পারব না ফাইনালে অধিনায়ক কীভাবে আমার পাশে ছিলেন। আমাকে আর যুবরাজকে সব সময় দলে চাইতেন সৌরভ। সৌরভ আর সহবাগ ওপেনিংয়ে ১০৬ রানের বড়় পার্টনারশিপ দিয়ে গিয়েছিলেন। সৌরভ আউট হন ৬০ রান করে। এর পরই পর পর উইকেট হারাতে শুরু করি আমরা।সহবাগ, মোঙ্গিয়া, দ্রাবির ও সচিন মাত্র ৩২ রানের মধ্যে এতগুলো উইকেট হারাই। ২৪ ওভারে ভারত তখন ১৪৬/৫।’’ এখান থেকেই লড়়াইটা শুরু করেন কাইফ। ‘‘ওই একটা ম্যাচই বদলে দিয়েছিল আমার ক্রিকেট জীবন। জীবনের সব থেকে কঠিন ৯০ মিনিট ছিল ওটা। আমার অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় যেভাবে চেয়েছিলেন আমি সেটা দিতে পেরেছিলাম।’’
আরও খবর
নিয়ম ভাঙলেই ৫০ ডলার ফাইন কুম্বলের ভারতীয় দলে