Nathan Lyon

চার দিনের টেস্টের বিরুদ্ধে এ বার সোচ্চার হলেন অজি স্পিনার

হিসাব বলছে, ২০১৮ সালে অধিকাংশ টেস্ট চার দিনের মধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছিল। আইসিসি তার পরই চার দিনের টেস্ট খেলার ব্যাপারে জোর দিতে চাইছে। ২০২৩-২০৩১ সালে হতে চলা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে চার দিনের টেস্টের পক্ষপাতী বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

সিডনি শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২০ ১৬:৪০
Share:

টেস্টের পঞ্চম দিনে স্পিনারদের প্রয়োজনীয়তা বাড়ে বলে জানিয়েছেন লায়ন। ছবি:এএফপি।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে চার দিনের টেস্ট ম্যাচ চালু করার বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন অস্ট্রেলিয়ার অফস্পিনার নেথান লায়ন। জানালেন, তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের এই প্রস্তাবের পুরোপুরি বিরুদ্ধে।

Advertisement

২০১৭ সালে চার দিনের টেস্টকে স্বীকৃতি দিয়েছিল আইসিসি। কিন্তু চার দিনের টেস্ট সে ভাবে চালু নয় ক্রিকেটবিশ্বে। হিসাব বলছে, ২০১৮ সালে অধিকাংশ টেস্ট চার দিনের মধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছিল। আইসিসি তার পরই চার দিনের টেস্ট খেলার ব্যাপারে জোর দিতে চাইছে। ২০২৩-২০৩১ সালে হতে চলা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে চার দিনের টেস্টের পক্ষপাতী বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা।

আইসিসির এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছেন অনেক বর্তমান এবং প্রাক্তন তারকা। অজি অফস্পিনারও অনেকের মতো এই প্রস্তাবের বিরোধী। তিনি বলেছেন, “আমার খেলা বেশ কয়েকটা সেরা টেস্ট ম্যাচ পঞ্চম দিনে গড়িয়েছিল। ২০১৪ সালে অ্যাডিলেডে ভারতের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট যেমন পঞ্চম দিনের শেষ আধ ঘন্টায় গড়িয়েছিল। ২০১৪ সালে কেপটাউন টেস্টেও তাই। দুই ওভার বাকি থাকতে মর্নি মর্কেলকে বোল্ড করে জয় এনেছিল রায়ান হ্যারিস। পঞ্চম দিনে খেলা শেষের ১০ মিনিট আগে ফয়সালা হয়েছিল টেস্টের। আমি একেবারেই চার দিনের টেস্টের সমর্থক নই। আমার মনে হয় এতে অনেক বেশি ড্র হবে। টেস্টের পঞ্চম দিন তাই গুরুত্বপূর্ণ।”

Advertisement

আবহাওয়ার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন নেথান লায়ন। এখন যেমন উইকেট তৈরি হচ্ছে, তাতে পিচে স্পিনারদের সাহায্য পেতে দেরি হচ্ছে। ফলে স্পিনারদের কার্যকরী ভূমিকা নিতে গেলে পঞ্চম দিনের পিচ দরকার বলেও দাবি করেছেন লায়ন। তিনি বলেছেন, “চাইব, আইসিসি যেন চার দিনের টেস্টের কথা একেবারেই না ভাবে।” পাঁচ দিনের টেস্ট ক্রিকেটারদের কাছে চ্যালেঞ্জের বলেও চিহ্নিত করেছেন লায়ন। তাঁর কথায়, “নানা ভাবে নিজেকে চ্যালেঞ্জ জানায় পাঁচ দিনের টেস্ট। এটা মোটেই পার্কে হাঁটার মতো সহজ নয়। পাঁচ দিনের টেস্টের সঙ্গে কঠার পরিশ্রম জড়িত থাকে। কারণ, কন্ডিশন মোটেই সহায়ক থাকে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন