একেই বলে এক তিরে বহু শিকার।
অস্ট্রেলিয়াকে তৃতীয় ওয়ান ডে-তে ২৪ রানে হারিয়ে যেটা করে দেখাল নিউজিল্যান্ড।
রস টেলর (১০৭) সেঞ্চুরি করে ধরে ফেললেন নাথান অ্যাস্টলের রেকর্ড। কিউয়িদের সবচেয়ে বেশি ওয়ান ডে সেঞ্চুরি (১৬) করা ব্যাটসম্যান হিসেবে। ট্রেন্ট বোল্ট (৬-৩৩) কেরিয়ার সেরা পারফরম্যান্সে চ্যাপেল-হ্যাডলি সিরিজের ট্রফি দিলেন দলকে। কিউয়িদের ঘরের মাঠে টানা আট নম্বর দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয় রস টেলরদের একই সঙ্গে তুলে আনল ওয়ান ডে র্যাঙ্কিংয়ে তিন নম্বরে। এ সবই হল সেডন পার্কে রবিবার। এবং তুমুল লড়াইয়েক পর। কিউয়ি দর্শকরা ঠিক যেটা চাইছিলেন।
রস টেলরের সেঞ্চুরি আর ওপেনার ডিন ব্রাউনলির (৬৩) হাফসেঞ্চুরির সাহায্যে ২৮১-৯ তুলে অস্ট্রেলিয়ার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে অ্যারন ফিঞ্চ (৫৬) আর শন মার্শের (২২) ওপেনিং জুটি অস্ট্রেলিয়াকে ঠিক পথেই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অযথা রান আউট হয়ে মার্শ সুবিধে করে দেন নিউজিল্যান্ডকে। যে সুযোগটা পুরোপুরি তুলে নিয়ে বোল্ট আর মিচেল স্যান্টনার পিটার হ্যান্ডসকম্ব, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আর জেমস ফকনারকে শূন্য রানে আউট করে অজিদের মিডল অর্ডারে ধস নামিয়ে দেন। ট্রাভিস হেডের (৫৩) হাফসেঞ্চুরি অস্ট্রেলিয়াকে কিছুটা আশা দিলেও বোল্ট তাকেও বেশিদূর এগোতে দেননি। মার্কাস স্টইনিসও (৪২) চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছনোর আগেই ফেরান স্যান্টনার।
অস্ট্রেলিয়াকে তখন জেতার জন্য ৬৫ বলে ৮৪ রান করতে হবে এমন অবস্থা এসে দাঁড়ায়। ম্যাচ তখন নিউজিল্যান্ডের দিকে ঢলে পড়েছে। ঠিক এই সময় মিচেল স্টার্ক (২৯ ন.আ) আর প্যাট কামিন্স (২৭) মরিয়া হয়ে ওঠেন। স্যান্টনারের দুটো ওভার থেকে এই জুটি তুলে নেয় ৩১। নিউজিল্যান্ড এই সময় প্রবল চাপে পড়ে যায়।
কিউয়ি ক্যাপ্টেন কেন উইলিয়ামসন জানতেন তাঁকে কী করতে হবে। তিনি বোলিংয়ে ডাকেন বোল্টকে। যাঁর পেস আর বাউন্সের সামনে প্রথমে ফেরেন কামিন্স। পরের ওভারে অ্যাডাম জাম্পাকেও ফেরান এই বাঁ-হাতি পেসার। তার পাঁচ বল পরে জস হ্যাজেলউডকে তুলে নিয়ে কেরিয়ারের সেরা বোলিংয়ের নজির গড়ে ফেলেন বোল্ট। অস্ট্রেলিয়ার ২-০ সিরিজ হারও নিশ্চিত হয়ে যায়।