Liverpool FC

হেরেও হুঙ্কার ক্লপের: অ্যানফিল্ডে ওরা স্বাগত

এক বার নিশ্চিত গোল করার মুহূর্তে আলভারো মোরাতা পিছলে পড়ে না গেলে, আতলেতিকো ম্যাচটা ২-০ জিতে যেত।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:৫৬
Share:

উল্লাস: কোকের আলিঙ্গনে আতলেতিকোর গোলদাতা নিগুয়েস (ডান দিকে)। রয়েছেন মোরাতাও। রয়টার্স

আতলেতিকো ১ • লিভারপুল ০

Advertisement

সাবেকি ঘরানার ফুটবলেই লিভারপুলকে ১-০ হারিয়ে বাজিমাত করল আতলেতিকো দে মাদ্রিদ। এই জয়ে দিয়েগো সিমিয়োনের ক্লাবের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হল। অবশ্য লিভারপুলের ম্যানেজার য়ুর্গেন ক্লপ ঘরের মাঠে প্রতিশোধ নেওয়ার ভঙ্গিতে বলে রাখলেন, ‘‘অ্যানফিল্ডে ওদের স্বাগত জানাতে তৈরি থাকব।’’

ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানো স্টেডিয়ামে উপচে পড়া দর্শকদের সামনে ৪ মিনিটেই সাউল নিগুয়েসের গোলে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে এগিয়ে যায় আতলেতিকো। বাকি ম্যাচে ব্যবধান কমাতে পারেননি মহম্মদ সালাহরা। আতলেতিকো ম্যানেজার ম্যাচের পরে বললেন, ‘‘এই রাতটা ভুলতে পারব না। বলছি না, কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গিয়েছি। কিন্তু এটাও সত্যি, বিশ্বের সেরা ক্লাবকে হারিয়েছি।’’

Advertisement

এক বার নিশ্চিত গোল করার মুহূর্তে আলভারো মোরাতা পিছলে পড়ে না গেলে, আতলেতিকো ম্যাচটা ২-০ জিতে যেত। ক্লপ অবশ্য এই হারে উদ্বিগ্ন নন, ‘‘০-৫ তো পিছিয়ে যাইনি। নিজেদের মাঠেও ওদের হারানো কঠিন, কিন্তু আমার ছেলেদের গায়ে যতক্ষণ লিভারপুলের জার্সি থাকছে, ততক্ষণ জান লড়িয়ে দেবে। ঘরের মাঠে সমর্থকদেরও পাশে পাচ্ছি। তাই অ্যানফিল্ডে ওদের অভ্যর্থনা জানাতে তৈরি থাকব।’’

এই ম্যাচের ২৪ ঘণ্টা আগে ক্লপ মন্তব্য করেন, ‘‘জয়ের জন্য আতলেতিকো যন্ত্রের মতো খেলে।’’ তবু কেউ ভাবেননি ছন্দে থাকা ইংল্যান্ডের ক্লাবের বিরুদ্ধেও কথাটা ফলে যাবে। অথচ আতলেতিকো লা লিগায় খুব ভাল খেলছে না। শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের থেকে তারা ১৩ পয়েন্টে পিছিয়ে। কিন্তু কঠোর মনোভাবের মানুষ সিমিয়োনে লড়াই ছাড়েননি। বিশ্বফুটবলে অঘটন ঘটাতেও তাঁর জুড়ি মেলা ভার। টানা ন’বছর তিনি আতলেতিকোর ম্যানেজার। তাঁর কোচিংয়ে ক্লাব লা লিগা জিতেছে। দু’বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে উঠেছে। সমর্থকেরাও সিমিয়োনেকে বহিষ্কারের দাবি তোলেন না। মঙ্গলবার আতলেতিকো মাঠে প্রবেশ করার মুহূর্তে সমর্থকেরা স্টেডিয়ামের বাইরেটা ভরিয়ে দেন লাল ধোঁয়ায়। যে ঘটনার উল্লেখ করে সিমিয়োনে বলেন, ‘‘ম্যাচের আগেই সমর্থকদের উচ্ছ্বাস দেখতে দেখতে বাসে বসে থাকার সময়ই জেতার কাজটা শুরু

হয়ে গিয়েছিল।’’

সবাইকে চমকে দিয়ে সিমিয়োনে এই মরসুমে প্রথম তাঁর প্রথম এগারোয় রাখেন থোমাস লেমারকে। খেলিয়ে দেন সবে চোট সারিয়ে ওঠা দিয়েগো কোস্তা ও মোরাতাকেও। এমন নয়, লিভারপুল কিছুই খেলতে পারেনি। কিন্তু তাদের প্রতিটি আক্রমণ চূর্ণ করতে আতলেতিকোর দশ জনই ঝাঁপিয়ে পড়ছিল। অবশ্য এর মধ্যেই সালাহ সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে বুঝে দ্বিতীয়ার্ধে ক্লপ নামাননি মানেকে। সেনেগালের তারকা হলুদ কার্ডও দেখেছিলেন। তাই ঝুঁকি নেননি লিভারপুল ম্যানেজার। যা নিয়ে ক্লপ বলেন, ‘‘ওরা মানেকেই উত্ত্যক্ত করছিল। সুযোগ খুঁজছিল মাথা গরম করে যাতে আর একটা হলুদ কার্ড দেখে। তাই প্রথমার্ধে অসাধারণ খেললেও ওকে তুলে নিয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন