পরের লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু বিজেন্দ্রর

চাপ নয়, প্রচণ্ড উত্তেজনা নিয়ে রিংয়ে নেমেছিলাম

তর সইছে না বিজেন্দ্র সিংহের। ৩০ অক্টোবরের জন্য। দ্বিতীয় পেশাদার বক্সিং লড়াই যে দিন ভিওয়ানির বক্সারের। শনিবার সনি উইটিংয়ের ‘নরক’ দেখানোর চ্যালেঞ্জ সাড়ে আট মিনিটেই বুমেরাং করে দেওয়ার পর এ বার দ্বিতীয় টার্গেট। এ বার প্রতিপক্ষকে আরও বিষাক্ত ছোবলে ফের ‘নরক’ দেখাতে মুখিয়ে রয়েছেন বিজেন্দ্র।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ম্যাঞ্চেস্টার শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৫ ০৪:২৬
Share:

তর সইছে না বিজেন্দ্র সিংহের। ৩০ অক্টোবরের জন্য। দ্বিতীয় পেশাদার বক্সিং লড়াই যে দিন ভিওয়ানির বক্সারের। শনিবার সনি উইটিংয়ের ‘নরক’ দেখানোর চ্যালেঞ্জ সাড়ে আট মিনিটেই বুমেরাং করে দেওয়ার পর এ বার দ্বিতীয় টার্গেট। এ বার প্রতিপক্ষকে আরও বিষাক্ত ছোবলে ফের ‘নরক’ দেখাতে মুখিয়ে রয়েছেন বিজেন্দ্র।

Advertisement

প্রথম লড়াইয়ে গোড়াতে প্রতিপক্ষকে কিছুটা মেপে নিয়েছিলেন। তারপর পাল্টা আক্রমণাত্মক পাঞ্চে বিধ্বস্ত করা কাকে বলে দেখিয়ে দিয়েছেন বিজেন্দ্র। দ্বিতীয় লড়াইয়ে পাঞ্চের ‘বিষ’ যে আরও বাড়বে সেটা আগেভাগেই বলে রাখছেন ভারতীয় বক্সার।

‘‘সবে তো শুরু হল। এর পর কী কী করি দেখতে থাকুন। ৩০ অক্টোবরের প্রতিপক্ষ এখনও ঠিক হয়নি। চলতি সপ্তাহেই হয়তো জানতে পারব। আমি ট্রেনিংয়ে, টেকনিক্যালি আরও উন্নতি করব। আরও জোরে মারব।’’

Advertisement

মা পাঠিয়েছিলেন ২০ কেজি দেশি ঘি। বিলেতে ছেলের প্রথম পেশাদার বক্সিং বাউটের প্রস্তুতির জন্য। যা দেখার পর বিজেন্দ্রর ট্রেনার লি বিয়ার্ডের চক্ষু চড়কগাছ হলেও ছেলের স্বাস্থ্য কীসে ভাল থাকবে মা-র থেকে ভাল কে জানবে! মা-র আরও একটা পরামর্শ ছিল। ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি যেন ‘গ্রাম দেবতা’র প্রার্থনা চালিয়ে যায় ছেলে।

প্রার্থনা, পরিশ্রম দুটোই সফল। ঠিক যে রকম শুরুটা চাইছিলেন বিজেন্দ্র। ‘‘চাপ নয়, প্রচণ্ড উত্তেজনা ছিল। কত মানুষ আমার লড়াই ভারতে, ইংল্যান্ডে দেখছেন সেটা ভেবেই একটা আলাদা উত্তেজনা হচ্ছিল। দায়িত্বও ছিল। এ বার আমায় দেখে আরও অনেক উঠতি বক্সার পেশাদার বক্সিংয়ে আসার কথা ভাববে।’’

শনিবার অবশ্য বাউটের শুরুর দিকে বেশি আগ্রাসী লাগছিল সনিকেই। ‘‘বাউটের আগে অনেক বড় বড় দাবি করেছিল সনি। আমি ঠিক করে নিয়েছিলাম জবাবটা রিংয়ে পাঞ্চ দিয়ে দেব। কথা রাখতে পেরেছি। আমার কাছে লড়াইয়ের আগেই বেশি কথা বলাটা অর্থহীন। কেন না হারলে কথায় আর কাজে তো মিল থাকবে না।’’

আর স্ট্র্যাটেজি? ‘‘শরীরের কাছাকাছি ওকে আসতে দিলে আমাকে নক আউট করার মতো পাঞ্চ যে ওর আছে, জানতাম। তাই দূর থেকে ওকে পাঞ্চ করছিলাম। আর স্টেপিংয়ে সব সময় চেষ্টা করছিলাম যাতে ও আমায় জোরে পাঞ্চ মারার সুযোগ না পায়।’’ শুধু স্ট্র্যাটেজিই তো নয় সঙ্গে বিজেন্দ্রর বিষাক্ত জ্যাবও সনিকে নক আউট করার পিছনে রয়েছে। যেটা কড়া ট্রেনিংয়ে আরও উন্নত হয়েছে বলে জানালেন তিনি। ‘‘প্রচুর পরিশ্রম করেছি। জ্যাবিংটা ভাল করতে আমার ট্রেনারও প্রচুর খেটেছেন। সেটার ফল পেলাম। আমার টেকনিক প্রো-বক্সিংয়ের জন্য অনেক পাল্টেছে। আগামী বাউটে সেটা আরও ভাল ভাবে বুঝতে পারবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন