East Bengal

কোচ নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোহালির বক্তব্যকে সম্মান জানানো উচিত, বললেন কপিল

ক্রিকেটার না হলে হয়তো কবাডি খেলতেন কপিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৯ ২৩:০১
Share:

প্রদীপ জ্বালাচ্ছেন ভাইচুং। মঞ্চে আলো করে রয়েছেন কপিল, সৌরভ, সুনীল ও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।

২৭ বছর আগে ইস্টবেঙ্গলের ডাকে সাড়া দিয়ে কলকাতায় খেলতে এসেছিলেন ১৯৮৩ সালের বিশ্বজয়ী অধিনায়ক কপিলদেব নিখাঞ্জ। সেদিনের স্মৃতিচারণ করে বৃহস্পতিবার কপিল বলছিলেন, ‘‘ওদিন আমাকে নিয়ে সবার ভয় ছিল। চোটের হাত থেকে আমাকে বাঁচানোর জন্য ম্যাচ চলাকালীন আমাকে বলও ঠিকঠাক দেওয়া হচ্ছিল না।’’ কপিলের পাশে তখন বসে ভারতীয় ফুটবলের বর্তমান ও প্রাক্তন অধিনায়ক ভাইচুং ভুটিয়া ও সুনীল ছেত্রী। তাঁদেরকে কিংবদন্তি বলে উল্লেখ করেন কপিল।

Advertisement

বিশ্বজয়ী ভারত অধিনায়কের সাংবাদিক বৈঠক শুরুর ঠিক আগে লাল-হলুদের প্রাক্তন ফুটবলার মহম্মদ হাবিব, ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য ও সুভাষ ভৌমিক ইস্টবেঙ্গলে খেলার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করছিলেন। তাঁদের ফুটবল জীবনের অনেক অজানা কাহিনি তুলে ধরছিলেন। সেই সাংবাদিক বৈঠক শেষ হওয়ার খানিক আগেই নেতাজি ইনডোরের প্রেস কনফারেন্স রুমে চলে আসেন কপিল। তিনি উপস্থিত থাকবেন মঞ্চে আর ক্রিকেট-প্রসঙ্গ আসবে না, তা আবার হয় নাকি! দিনকয়েক আগেই ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি বলেছিলেন, রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বোঝাপড়া ভাল। শাস্ত্রীকেই কোচ হিসেবে তাঁর পছন্দ।

এদিন ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ অনুষ্ঠান শুরুর ঠিক আগে কপিল বলেন, “কোহালির মন্তব্যকে আমি শ্রদ্ধা করি।’’ তিনি অবশ্য সবার বক্তব্যকেই শ্রদ্ধা করেন। কপিলের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয় কোচ বেছে নেওয়ার কাজ কতটা কঠিন হতে চলেছে? কপিলের সহজ জবাব, ‘‘একদমই নয়, নিজের কাজটা দায়িত্ব নিয়ে করলে কোনও কাজই কঠিন নয়।’’ বিশ্বকাপ থেকে ভারত ছিটকে যাওয়ার পরেই কোহালিদের নতুন হেড কোচ নিয়োগ নিয়ে জোর জল্পনা। কপিলের নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটি বেছে নেবে নতুন কোচ।

Advertisement

ক্রিকেটার না হলে কী হতেন? এই প্রশ্ন উড়ে এসেছিল কপিলের দিকে। তিনি বলেন, ‘‘হয়তো কবাডি খেলতাম।’’ অন্য খেলার তারকাদের প্রতি অসম্ভব শ্রদ্ধা কপিলের। তিনি বলেন, ‘‘মারাদোনার খেলা খুব ভাল লাগত। ওর উচ্চতা ভাইচুংয়ের থেকেও কম। কিন্তু, একবার পায়ে বল পেলে ওকে রোখা কঠিন ছিল। ওর গতি বেড়ে যেত।’’

একশো বছর যে কোনও ক্লাবের কাছেই গর্বের ব্যাপার। ইস্টবেঙ্গলের অর্থ তাঁর কাছে কী? এই প্রশ্নের উত্তরে কপিল বলেন, ‘‘সমর্থকরাই ক্লাবের মূল চালিকাশক্তি। একটা ক্লাব যখন ১০০ বছরে পৌঁছয়, তখন বুঝে নিতে হবে, সেই কৃতিত্বের অধিকারী ক্লাবের সমর্থকরাও। মাঠের বাইরে বসে তাঁদের সমর্থন খেলোয়াড়দের মনে উৎসাহ জোগায়।’’

কলকাতার ফুটবল ঐতিহ্য প্রসঙ্গে কপিল বলেন, ‘‘আমরা উইম্বলডন টুর্নামেন্টকে শ্রদ্ধা করি কারণ তার একটা ঐতিহ্য রয়েছে। নিজেদের ঐতিহ্যকে কখনওই বিসর্জন দেওয়া উচিত নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন