উইম্বলডনের সেমিফাইনালে হার এরিনা সাবালেঙ্কার। ছবি: এক্স (টুইটার)।
এ বারের উইম্বলডনের সবচেয়ে বড় অঘটন। সেমিফাইনালে হেরে গেলেন মহিলাদের শীর্ষ বাছাই এরিনা সাবালেঙ্কা। আমেরিকার অ্যামান্ডা আনিসিমোভা জিতলেন ৬-৪, ৪-৬, ৬-৪ ব্যবধানে। এই প্রথম কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে উঠলেন তিনি।
কোয়ার্টার ফাইনালে যে দাপটে খেলেছিলেন, সেমিফাইনালে তা দেখা গেল না সাবালেঙ্কার খেলায়। আনিসিমোভার বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই খানিকটা অগোছাল দেখাল তাঁকে। নিখুঁত টেনিস খেলেননি আমেরিকার খেলোয়াড়ও। তবু তিনি জিতলেন সাবালেঙ্কার একের পর এক ‘আনফোর্সড এরর’ কাজে লাগিয়ে। ২ ঘণ্টা ৩৭ মিনিটের ম্যাচে কখনই মনে হয়নি সাবালঙ্কা ম্যাচ বের করে নিতে পারবেন। প্রতিটি পয়েন্টের জন্য লড়াই করতে হয়েছে। আনিসিমোভার পাওয়ার টেনিসের ফাঁদে পা দিয়েছেন। খেলার গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। কাজে লাগাতে পারেননি বেশ কিছু ব্রেক পয়েন্টও।
প্রথম সেট ৪-৬ ব্যবধানে হারার পর লড়াইয়ে ফেরার চেষ্টা করেন শীর্ষ বাছাই। তাঁর মরিয়া টেনিসের সামনে সে সময় খানিকটা চাপে পড়ে যান আনিসিমোভা। কিন্তু তৃতীয় সেটে সাবালেঙ্কাকে প্রায় দাঁড়াতেই দিলেন না তিনি। এক সময় ৫-২ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিলেন। শেষ দিকে মরিয়া চেষ্টা করেন সাবালেঙ্কা। কিন্তু লাভ হয়নি।
২০১৯ সালে ফরাসি ওপেনে ওঠা ছাড়া তেমন উল্লেখযোগ্য সাফল্য নেই আনিসিমোভার। ফ্লরিডার বাসিন্দা ২৩ বছরের তরুণী টেনিস জীবনের সেরা ফর্মে রয়েছেন এ বারের উইম্বলডনে। ২০১৭ সালে জুনিয়র ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথম নজর কেড়েছিলেন। কিন্তু সিনিয়র পর্যায়ে তেমন কিছু করতে পারেননি। এখনও পর্যন্ত তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ৩টি সিঙ্গলস ট্রফি। তাঁর কাছে সাবালেঙ্কা হেরে যাবেন, তা সম্ভবত ভাবতে পারেননি বেলারুশের টেনিস তারকার অতি বড় সমালোচকও। অঘটনের উইম্বলডনে সেটাও ঘটে গেল।