অস্বস্তি: উরুগুয়ে-মিশর ম্যাচে ফাঁকা গ্যালারি। ছবি: গেটি ইমেজেস
বিশ্বকাপে মিশর বনাম উরুগুয়ে ম্যাচের অধিকাংশ টিকিট বিক্রি হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও হাজার খানেক আসন ফাকা ছিল ইয়েকাতেরিনবার্গে। যা নজর এড়াতে পারেনি ফিফার। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরেই ফিফা জানিয়েছে এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করবে তারা।
বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে টিকিট কালোবাজারী হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল রাশিয়ায়। সে সন্দেহ যে একেবারেই ভুল নয় তা মিশর বনাম রাশিয়া ম্যাচেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। ম্যাচ শেষে ফিফার এক কর্তা বলেছেন, ‘‘স্টেডিয়ামের আসন সংখ্যা ৩৩,০৬১। তার মধ্যে ৩২,২৭৮ টিকিট বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু টিকিট বিক্রির হিসেবের সঙ্গে স্টেডিয়ামের উপস্থিতির অনেক তফাত দেখা গিয়েছে। বিভিন্ন কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু আসল কারণ কী, সেটাই খুঁজে বার করবে ফিফা।’’
বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগেই সংস্কার করা হয়েছিল ইয়েকাতেরিনবার্গের এই স্টেডিয়াম। সে মাঠে বার্সেলোনার তারকা লুইস সুয়ারেস খেললেও তাঁকে দেখার উত্তেজনা চোখে পড়েনি ফিফা কর্তাদের। স্টেডিয়ামের দুই প্রান্ত মিশর ও উরুগুয়ের সমর্থকে ভর্তি ছিল। কিন্তু রাশিয়ার সমর্থকেরা যে টিকিট কিনেছেন, সেগুলোই খালি ছিল বলে অভিযোগ উঠে আসছে। ফিফার হিসাব অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপের ২৫ লক্ষ টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে রাশিয়ার সমর্থকই ছিল ৪৬ শতাংশ। এ ছাড়া ৯০,০০০ টিকিট কিনেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থকেরা। কিন্তু বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দিনেই দর্শক উপস্থিতি নিয়ে অস্বস্তি এড়াতে পারল কোথায় ফিফা! সে জন্যই হয়তো সন্দেহ বেড়েছে ফিফা কর্তাদের মধ্যে। তা হলে কী রাশিয়া বিশ্বকাপেও টিকিট কালোবাজারী হতে শুরু করল?