তাঁর নেতৃত্ব সদ্য এশিয়া কাপ জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। সামনে থেকে দল পরিচালনার পাশাপাশি ব্যাট হাতেও অত্যন্ত সফল রোহিত শর্মা। অধিনায়ক হিসেবে রোহিতের সাফল্যের পর জল্পনা তৈরি হচ্ছে আসন্ন বিশ্বকাপে অধিনায়কত্বের ব্যাটন রোহিতের কাঁধে তুলে দিলে কেমন হয়। কিন্তু, না। রোহিতের বদলে বিরাট কোহালিই প্রথম পছন্দ নির্বাচকদের। কেন জানেন?
আইপিএল-এ রোহিতের নেতৃত্বে মুম্বই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বেশ কয়েক বার। পাশাপাশি, আইপিএল-এ তেমন চোখ ধাঁধাঁনো রেকর্ড নেই বিরাট কোহালির।
আইপিএল-এর নিরিখে সব বিচার করা ঠিক নয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আর আইপিএল-এর মধ্যে অনেক ফারাক। ফলে আইপিএল কোনও ভাবেই বিচারের মাপকাঠি হতে পারে না।
এশিয়া কাপে রোহিতের নেতৃত্ব নজর কেড়েছে। কিন্তু, অভিজ্ঞতায় কোনও ভাবেই বিরাটের ধারে কাছে নন রোহিত। ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশে দল পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে বিরাটের।
বিশ্বকাপের মতো আসরে এই অভিজ্ঞতাই কোহালিকে রোহিতের থেকে এগিয়ে রাখবে। এশিয়া কাপে অল্প কয়েকটা দেশ খেলেছিল। বিশ্বকাপ কোনও দিক থেকেই এত সহজ টুর্নামেন্ট নয়।
মাঠে দল পরিচালনা থেকে বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, সব দিক থেকেই বিরাট নজর কেড়েছেন বার বার। বিরাটের আগ্রাসী মনোভাব সতীর্থদের মনোবল বাড়াতে সাহায্য করে।
সামনে থেকে দল পরিচালনা করলেও বিরাটের মতো অগ্রাসী মনোভাব রোহিতের নেই। বিশ্বকাপের মতো আসরে কোহালির এই আগ্রাসী মনোভাব দলের মনোবলকে চাঙ্গা করতে অনেকটা অক্সিজেন দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বিরাট কোহালি। ফাইনালে ভারত হেরে গেলেও গোটা টুর্নামেন্টে নজর কাড়েন তিনি ও তাঁর নেতৃত্ব।
ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হেরে গেলেও সেই অভিজ্ঞতা বিরাটের পথ চলার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ইংল্যান্ডে। পুরনো অভিজ্ঞতা নেতা বিরাটের বিশাল অ্যাডভান্টেজ হতে পারে।
দীর্ঘ দিন অধিনায়কত্ব করার জন্য দলের শক্তি-দুর্বলতা খুব ভাল করেই জানেন বিরাট কোহালি। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির পর গোটা দলকে হাতের তালুর মতো কেউ যদি চেনেন তিনি নিঃসন্দেহে কোহালি।
বিদেশের মাটিতে নিজ দলের দুর্বলতা জানা থাকায় দল পরিচালনার কাজটা অনেক সুবিধা হবে নেতা বিরাটের। বিপক্ষ দলের সম্পর্কেও ধারণা স্পষ্ট করতে পারলে ক্ষমতা অনুযায়ী দল পরিচালনা করতে পারবেন কোহালি।