উল্টো দিকে গোতি থাকলে চিন্তা থাকে না

ব্যাটম্যান আর রবিনের জাদুতে নাইট রাইডার্সের আকাশে এখন রোশনাই। কেকেআরের ওপেনিং জুটি চার ম্যাচ যেতে না যেতেই ভক্তদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। ব্যাটম্যান— গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে তাঁর ওপেনিং জুটির এই সাফল্যের রহস্য কী?

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:২৫
Share:

ব্যাটম্যান আর রবিনের জাদুতে নাইট রাইডার্সের আকাশে এখন রোশনাই। কেকেআরের ওপেনিং জুটি চার ম্যাচ যেতে না যেতেই ভক্তদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। ব্যাটম্যান— গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে তাঁর ওপেনিং জুটির এই সাফল্যের রহস্য কী? তাঁদের মধ্যে এত ভাল বোঝাপড়া কী করে গড়ে উঠল? এ সব নিয়ে আইপিএলের ওয়েবসাইটে তিনি— রবিন উথাপ্পা যা বললেন।

Advertisement

প্রশ্ন: কেকেআরের হয়ে ওপেনিংয়ে আপনার এই ধারাবাহিকতার রহস্য কী?

রবিন: আমার মনে হয় রহস্যটা লুকিয়ে রয়েছে আমি ব্যাট করতে গিয়ে কী অনুভব করি তার উপর। যখন ব্যাট হাতে নামি নিজেকে খুব গোছানো মনে হয়। আমার গেমপ্ল্যান কী সেটা পরিষ্কার থাকে। কোনও দ্বিধা না থাকায় খুব আত্মবিশ্বাসী থাকি। ব্যাটিং আর টেকনিক নিয়ে খুব খাটি সব সময়।

Advertisement

প্র: কিংগস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার ব্যাট করতে নেমে আপনাকে দেখে মনে হচ্ছিল বাগানে হাঁটতে বেরিয়েছেন। এতটাই সহজ।

রবিন: গোতির টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করাটা কাজে দিয়েছে। পরে ব্যাট করাটা এই উইকেটে কিছুটা সহজ লাগছিল। ১৩০-১৪০ রান তাড়া করতে গেলেও অনেক সময় বিপদে পড়ে যেতে হয়। তবে আমার মনে হয়েছিল যদি আমরা প্রথম তিন চার ওভারে ২৫-৩৯ রান তুলে মোমেন্টাম পেয়ে গেলে ওরা ব্যাকফুটে চলে যাবে। আর ক্রিজের অন্যদিকে গোতি থাকলে আর কিছু ভাবতে হয় না।

প্র: কোর গ্রুপ ধরে রাখাটা কি কেকআরের সাফল্যের অন্যতম কারণ বলে মনে হয়?

রবিন: অবশ্যই। এটা ঘটনা যে আমরা দলে খুব বেশি পরিবর্তন করিনি। কোর গ্রুপটা ধরে রেখেছি। আমার মনে হয় ঠিকঠাক কম্বিনেশন বাছার কৃতিত্বটা ফ্র্যাঞ্চাইজির। তাই প্রয়োজন মতো বোলার, অলরাউন্ডার নেওয়ার সুবিধেটাও আমরা নিতে পারছি। যেটা বিরাট বড় ব্যাপার। প্রথম একাদশ বাছার ব্যাপারে আমাদের প্রচুর অপশন আছে তাই।

প্র: টি-টোয়েন্টিতে ওপেনারদেরও কী এখন একটা গেমপ্ল্যান থাকে?

রবিন: হ্যাঁ, থাকে। ব্যাটসম্যানদের উইকেট নিয়ে একটা ধারণা থাকা চাই। তার উপর ঠিক করতে হয়, ওই উইকেটে কোন কোন শট খেলা যাবে। পরে ব্যাট করলে উইকেট আরও ভাল বোঝা যায়। ভারতে বিভিন্ন মাঠের কোনটায় প্রথমে ব্যাট করা ভাল, কোনটায় পরে সেটা জানা দরকার। আরও একটা ব্যাপার বুঝতে হয়, বড় শট খেলার প্রয়োজন নেই। ওভারে ৮-৯ রান নিয়ে টিকে থাকলেই হবে। প্রথম ছ’ওভার ক্রিজে থাকতে পারলে ৪৫-৫০ রান উঠে যাবে। এই ভীতটাই বড় কথা। টি-টোয়েন্টিতে টপ অর্ডারের কেউ ৭৫ বা তার বেশি রানে যদি অপরাজিত থাকতে পারে সেই দলের জেতার সুয়োগ অনেক বেড়ে যায়।

প্র: আর কিপিং করাটা কতটা চ্যালেঞ্জের?

রবিন: আমার কিপিং স্কিলের উপর জংটা ছেড়ে যাচ্ছে বলতে পারি। আমি নিয়মিত কিপ করি না। আইপিএলের আগে এক মাস প্র্যাকটিস করেছিলাম। তাই ম্যাচ প্র্যাকটিসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচ প্র্যাকটিসের মতো কিছু হয় না। যত ম্যাচ যাবে আমার আত্মবিশ্বাস তত বাড়বে।

আজ আইপিএলে
গুজরাত লায়ন্স বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, রাজকোট,
রাত ৮-০০

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement