সরাসরি জয়ের আশা ছেড়ে দিয়ে বাংলাকে হার বাঁচানোর জন্য না লড়তে হয়— রঞ্জির শেষ লিগ ম্যাচের প্রথম দিনের পর ইনদওরে ফোন করে বাংলা শিবিরে এমনই আশঙ্কার গুঞ্জন শোনা গেল!
উইকেটে সবুজের আভা দেখে টস জিতে ফিল্ডিং নিলে কী হবে, সারা দিন ধরে একটার বেশি উইকেট ফেলতে পারল না বঙ্গ বোলিং ব্রিগেড। তাও তা এল পার্টটাইম বোলার মনোজ তিওয়ারির ওভারে শেষ বেলায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বাংলার জঘন্য বোলিংয়ের জন্যই এত রান পেল মধ্যপ্রদেশ। মাঠে থাকা প্রাক্তন জাতীয় নির্বাচক নরেন্দ্র হিরওয়ানি ফোনে বললেন, “বাংলার এত খারাপ বোলিং দেখব আশা করিনি।” দলের এই পারফরম্যান্সে নাকি শুধু হতাশ নন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় অবাকও। জানা গেল, ইনদওরে দুপুরেও ফোন করে যখন শোনেন বিপক্ষের একটাও উইকেট পড়েনি, তখন অবাক হয়ে যান! লক্ষ্মীরতন শুক্লর টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্তেও নাকি সায় নেই তাঁর। জানা গেল, এই মাঠে সব দলই টস জিতে আগে ব্যাট করে। লক্ষ্মীরাই ব্যতিক্রম। সৌরভ আগের দিনই বলেছেন, অযথা নাক গলাতে চান না। তাই নাকি পরামর্শ দেননি।
এ দিন দিন্দা, বীরপ্রতাপ, লক্ষ্মী, সৌরাশিসদের কড়া হাতে শাসন করলেন মধ্যপ্রদেশের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। যে ভাবে দিনের শেষে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে ২৭৪ তুলল মধ্যপ্রদেশ, তার পর শনিবার তারা রানের পাহাড় গড়তেই পারে। সবে প্রথম শ্রেণির কেরিয়ার শুরু করা ওপেনার আদিত্য শ্রীবাস্তব (১১৮ ন.আ.) এবং ওপেনিং ব্যাটসম্যান জলজ সাক্সেনার (১০৯) ২২২-এর পার্টনারশিপই বাংলাকে জবরদস্ত ধাক্কা দিল। “জোড়া সেঞ্চুরির এই ধাক্কা সামলাতে পারলে হয়”, বলছেন বাংলা দলেরই এক সদস্য। ঈশ্বর পাণ্ডে না থাকলেও চার পেসারে নেমেছে মধ্যপ্রদেশ। দিন্দারা না পারলেও সবুজ উইকেটে তাঁরা বোধহয় ছেড়ে কথা বলবেন না।
এই হোলকার স্টেডিয়ামেই জম্মু-কাশ্মীরকে ইনিংসে হারিয়েছে মধ্যপ্রদেশ। বাংলারও সেই দশা হবে না তো? এখনই উঠতে শুরু করেছে সেই প্রশ্নও!
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মধ্যপ্রদেশ ২৭৪-১
(শ্রীবাস্তব ১১৮ ন.আ, সাক্সেনা ১০৯, মনোজ ১-২১)।