ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট বিপর্যয়ের রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই ভারতীয় বোর্ডকে আচমকা বাউন্সার অনুষ্কা শর্মার।
ঘটনার সূত্রপাত, টেস্ট সিরিজের সময় বিরাট কোহলির সঙ্গে বলিউড তারকার একই হোটেলে থাকা নিয়ে। যা নিয়ে দিনকয়েক আগে হঠাৎ বিতর্ক তৈরি হয়। যে বিতর্ক ধামাচাপা দিতে বোর্ড জানিয়ে দেয়, বিরাট-অনুষ্কা খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে চলেছেন। সে জন্যই তাঁদের একসঙ্গে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যে ছাড়পত্র নিয়ে নাকি সফরকারী ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টও কিছুটা দ্বিধায় ছিল। টেস্ট সিরিজে ভারতের ম্যানেজার সুনীল দেব তো প্রকাশ্যে বলেই দেন, “ব্যাপারটা নিয়ে বোর্ড সচিব অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট শিবলাল যাদবের সঙ্গে কথা বলেছিলেন বলে তো মনে হয় না। উনি এই প্রস্তাবে সায় দিতেন বলে মনে হয় না।”
ম্যানেজারের বিস্ফোরণের চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই পাল্টা বিবৃতি দিয়ে দিয়েছেন অনুষ্কা। টিম ইন্ডিয়ার সহ অধিনায়কের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে স্বীকার করেননি বলিউড অভিনেত্রী। এ দিনও তাঁর ম্যানেজারের বিবৃতিতে কোহলির নাম উল্লেখ করা হয়নি। বরং তাতে বলা হয়েছে, “অনুষ্কা শর্মার আসন্ন বিয়ে নিয়ে ইন্টারনেটে প্রচুর জল্পনা ছড়িয়েছে। আমি পরিষ্কার করে দিতে চাই যে, এ সব গুজব মোটেও সত্যি নয়। সবাইকে অনুরোধ করব এটা নিয়ে আর গুজব না ছড়াতে।”
অনুষ্কার এমন বোমার মধ্যে কোহলির দিকে আরও একটা বোমা ছুড়ে দিলেন জিওফ্রে বয়কট। প্রাক্তন ইংরেজ অধিনায়ক অবশ্য সমালোচনা করেছেন ব্যাটসম্যান কোহলির। “আমাদের বিশ্বাস করানো হয়েছিল যে, কোহলি আর পূজারা যথাক্রমে সচিন আর দ্রাবিড়ের জায়গাটা নেবে। দেখা যাচ্ছে সচিন-দ্রাবিড়ের জুতো বেশ অনেকটাই বড়। সেই জায়গাটা এখনই যে ভরাট করার মতো অবস্থায় কোহলিরা নেই, সেটা ওদের ফর্মেই পরিষ্কার,” বলেছেন বয়কট। তাঁর মনে হচ্ছে, কোহলি এবং পূজারা দু’জনেই একই ভুল বারবার করে যাচ্ছেন। তাঁর মন্তব্য, “দেখে এত খারাপ লাগে যে, ওদের মতো প্রতিভাবান দুটো ছেলে একই ভুল করে যাচ্ছে। কোহলি কিছুতেই বুঝতে পারছে না ওর অফস্টাম্পটা কোথায়। ক্রমাগত ব্যাট বাড়িয়ে দিচ্ছে। যেটা বল মুভ করলে চলে না। আর পূজারার আউটগুলো অত্যন্ত হতাশাজনক।”