আর্মান্দো কোলাসো-ই কোচ ইস্টবেঙ্গলের। সরকারি ভাবে ঘোষণা করে দিলেন কর্তারা।
শর্ত-পাল্টা শর্ত চললেও আর্মান্দোকেই যে কোচ রেখে দেওয়া হচ্ছে, সেটা আনন্দবাজারেই প্রকাশিত হয়। কিন্তু সচিব কল্যাণ মজুমদারের ‘আর্মান্দো ক্লোজড চ্যাপ্টার’ বলার পর ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের নাম নিয়ে হঠাৎ-ই গুঞ্জন ছড়ায় ময়দানে। বৃহস্পতিবার ক্লাব তাঁবুতে সেই কল্যাণবাবুকেই বলতে শোনা যায়, “চুক্তির সময়সীমার মধ্যে আর কোনও জায়গায় কোচিং করাতে পারবেন না আর্মান্দো। ওর চাহিদা মতো এক জন জিম ট্রেনার ও নিউট্রিশনিস্ট নিয়োগ করা হচ্ছে। ফুটবলার নির্বাচনের ক্ষেত্রেও কোলাসোর পছন্দকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।”
আর্মান্দো ফের ইস্টবেঙ্গল কোচ হওয়ায় খুশি সুব্রত ভট্টাচার্য এবং সুভাষ ভৌমিকের মতো অন্য দলের কোচেরাও। ময়দানের ‘বাবলু’ বলছিলেন, “এটা খুব ভাল সিদ্ধান্ত। বড় সাফল্য পেতে হলে কোচকে সময় দেওয়া জরুরি। ট্রেভর মর্গ্যান সময় পেয়েছিল। ট্রফি দিয়েছিল। আমার মনে হয় আর্মান্দোও পারবে।” সুভাষ অবশ্য প্রথমে মন্তব্য করতে না চাইলেও, পরে শুধু বলেন, “কোলাসো তো আগের বছরও কোচ ছিল। এ বার আবার কোচ হয়েছে। তাই নতুন করে কিছু বলার নেই।” আর্মান্দো অবশ্য গোয়া থেকে ফোনে বললেন, “পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গত বার ইস্টবেঙ্গলকে একটার বেশি ট্রফি দিতে পারিনি। এ বার ক্লাবকে একাধিক ট্রফি দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।”
“এটা খুব ভাল সিদ্ধান্ত। বড় সাফল্য পেতে হলে কোচকে সময় দেওয়া জরুরি।
ট্রেভর মর্গ্যান সময় পেয়েছিল। ট্রফি দিয়েছিল। আমার মনে হয় আর্মান্দোও পারবে।” —সুব্রত ভট্টাচার্য
“কোলাসো তো আগের বছরও কোচ ছিল। এ বার আবার কোচ হয়েছে।
তাই নতুন করে কিছু বলার নেই।” —সুভাষ ভৌমিক
ইস্টবেঙ্গলের নতুন মরসুমের অনুশীলন শুরু হচ্ছে কবে থেকে? ইস্টবেঙ্গলের গোয়ান কোচ বললেন, “রবিবার সকালে কলকাতায় আসছি। ওই দিন ক্লাব-কর্তা এবং ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলেই পরের কর্মসূচি ঠিক করব।” তবে আর্মান্দো এবং ইস্টবেঙ্গল কর্তারা এখন সবচেয়ে বেশি চিন্তায় আইকন ফুটবলার নিয়ে। ফেডারেশনের নিয়ম অনুয়াযী নতুন মরসুম থেকে এক জন আইকন ফুটবলার বাধ্যতামূলক সব টিমে। কিন্তু এই আইকন ফুটবলার নিয়েই হিমশিম অবস্থা লাল-হলুদের। আর্মান্দো নাম প্রস্তাব করেছিলেন ডুডু ওবোগামির। কিন্তু তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। তবে আইকন ফুটবলার রাখা নিয়ে ফেডারেশনকে লাল-হলুদ সচিবের পাল্টা আক্রমণ, “ফেডারেশন জোর করে নিজেদের সিদ্ধান্ত আমাদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। কোনও আলোচনা নেই। কোনও মতামত জানানোর উপায়ও নেই। এখন আবার নতুন নিয়ম হল, আইকন ফুটবলার না রাখলে বিদেশি ফুটবলার রিক্রুট করা যাবে না। এই ভাবে তো ফুটবলটাই শেষ হয়ে যাবে।”