জিততে হলে শেষ দু’বলে ১২ চাই। এই অবস্থায় পরপর দু’টি ছয় মেরে পারথ স্কর্চার্সকে জিতিয়ে দিলেন মিচেল মার্শ। শনিবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টিতে। অন্য ম্যাচে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব ১৭৫ সহজেই তুলে দিল। দু’বল বাকি থাকতেই বার্বেডোজ ট্রাইডেন্টকে চার উইকেটে হারিয়ে। সহবাগ ২৫ বলে ৩১ করেন। ডেভিড মিলারের ৩৪ বলে অপরাজিত ৪৬ দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যায়। ঋদ্ধিমান সাহা ১৩ বলে ১৪ করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ডলফিনসের বিরুদ্ধে জিততে শেষ ওভারে স্কর্চার্সের দরকার ছিল ১৬। ডান হাতি মিডিয়াম পেসার রবি ফ্রিলিঙ্ক দ্বিতীয় বলেই অ্যাশটন আগারকে ফিরিয়ে দেন। পরের দু’বলে অ্যাশটন টার্নার তিন রান নেওয়ার পর মার্শকে স্ট্রাইক দেন। তখন চাই দু’বলে ১২। ফ্রিলিঙ্কের ফুলটস এগিয়ে এসে মিড উইকেটের উপর দিয়ে উড়িয়ে দেন মার্শ। শেষটাও ফুলটস। তবে একটু নিচু। এ বার মার্শের ব্যাট থেকে বল সোজা সাইট স্ক্রিনে গিয়ে আছড়ে পড়ে।
বিগ ব্যাশ ফাইনালেও ১২ বলে ৩৭-এর ঝোড়ো ইনিংস খেলেছিলেন মার্শ। এ দিন করলেন ২৬ বলে ৪০। ডলফিনসের ১৬৪-৭-এর জবাব এ ভাবেই দিল স্কর্চার্স। রান তাড়া করতে গিয়ে চার উইকেট হারায় তারা। জেতে ছ’উইকেটে। শেষ দু’বলের ওই কীর্তি নিয়ে ম্যাচের পর মার্শ বলেন, “আমার সঙ্গী আমাকে বলে, মাথা পরিস্কার করো আর চালাও ব্যাট। আমার কিছু বলার ছিল না। ওরা ভীষণ ভাল ইয়র্কার দিচ্ছিল। যে কোনও ফল হতে পারত। তবে আজ ভাগ্য আমাদের সাহায্য করেছে। সাধারণত শেষ দু’বলে আমাকে ব্যাট করতে হয় না। কিন্তু আজ ভাগ্যিস আমি ছিলাম।”