আইপিএল এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টিতে ভারতীয় বোর্ডের কোন কোন কর্তার বাণিজ্যিক লগ্নি রয়েছে, বোর্ডের কাছে তালিকা চাইল সুপ্রিম কোর্ট। মূল মামলা ছেড়ে হঠাত্ই ফোকাস এখন বোর্ড কর্তাদের স্বার্থ-সংঘাত এবং বোর্ডের অভ্যন্তরীণ কাজকর্মের উপর। শ্রীনিবাসন কী করে বোর্ড কোষাধ্যক্ষ থাকাকালীন চেন্নাই টিমের মালিক হলেন, বোর্ড নিয়ম কী ভাবে সে সময় পাল্টে ফেলা হল, সবই জানতে চাইছে সুপ্রিম কোর্ট।
বোর্ডের আইনজীবী সিএ সুন্দরম এ দিন বলেন, ভারতীয় বোর্ড দু’ভাগে কাজ করে। একটা আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট। অন্যটা আইপিএল, যার একটা সম্পূর্ণ আলাদা বাণিজ্যিক চরিত্র আছে। বিচারপতি টিএস ঠাকুর এবং খলিফুল্লার ডিভিশন বেঞ্চ তখন জিজ্ঞেস করে, শ্রীনি ছাড়া বোর্ডের অন্য কর্তা কোনও আইপিএল টিমের মালিক কি না। জবাবে ‘না’ শুনে বেঞ্চ বলে, আইপিএল যেহেতু কোনও প্রশাসকের টিম মালিকানার উপর নির্ভর করে নেই, আর সেটা না হলে আইপিএলের অস্তিত্ব যখন মুছবে না, তখন বোর্ডের উচিত আইপিএল নিয়ে পুরনো নিয়মে ফিরে যাওয়া। সুন্দরমকে আরও জিজ্ঞেস করা হয়, আইপিএলের জন্মলগ্নে যখন আট ফ্র্যাঞ্চাইজির সাতটা কেনে অন্যান্যরা, তা হলে আট নম্বর ফ্র্যাঞ্চাইজি বোর্ড কর্তাকে কিনতে হল কেন?
বোর্ড আইনজীবী বলতে যান যে, তামিলনাড়ু সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট (বোর্ড যার নথিভুক্ত) অনুযায়ী দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদ হলে সেটা নিজেদের মধ্যে মেটাতে হয়। তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ সেখানে প্রয়োজনীয় নয়। সুন্দরম আসলে বিহার ক্রিকেট সংস্থার মামলায় জড়িয়ে পড়াকে ইঙ্গিত করছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেটা উড়িয়ে দিয়ে বলে, বোর্ডের নিয়ম বোর্ডের কাছে অলঙ্ঘ্যনীয় হলেও আদালতের কাছে নয়। বলা হয়, “আদালতের ক্ষমতা নেই, এই কথাটা মাথা থেকে উড়িয়ে দিন।”