Direct to Mobile

ইন্টারনেট ছাড়াই ফোনে দেখা যাবে ভিডিয়ো বা টিভি! কেন্দ্রের নতুন প্রযুক্তিতে জিয়ো-এয়ারটেল-ভোডাফোনের মাথায় হাত

দেশের দু’টি শহরে পরীক্ষামূলক ভাবে ‘ডিরেক্ট টু মোবাইল’ নামের একটি প্রযুক্তি চালু করেছে কেন্দ্র। এতে ইন্টারনেট ছাড়াই ফোনে দিব্যি ভিডিয়ো, টিভি চ্যানেল, এমনকি খেলা বা সিনেমা দেখতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:২১
Share:

— প্রতীকী ছবি।

ইন্টারনেট ছাড়াই ফোনে চলবে ভিডিয়ো! দেখা যাবে পছন্দের টিভি চ্যানেল। আমেরিকা বা ইউরোপের মতো পশ্চিমি বিশ্বের দেশ নয়। ইতিমধ্যেই ভারতে এ-হেন প্রযুক্তি চালু করেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। এর সুবিধা পেতে প্রয়োজন হবে না বিরাট দামি কোনও স্মার্টফোন। মাত্র দুই থেকে আড়াই হাজার টাকার ডিভাইসে ইন্টারনেটবিহীন যাবতীয় ডিজিটাল পরিষেবা পাবেন গ্রাহক। এ দেশের প্রযুক্তির ইতিহাসে এই ঘটনা তাই মাইলফলক হতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

সম্প্রতি দিল্লি এবং বেঙ্গালুরুতে পরীক্ষামূলক ভাবে ‘ডিরেক্ট টু মোবাইল’ নামের বিশেষ একটি প্রযুক্তি চালু করেছে কেন্দ্র। এতে কৃত্রিম উপগ্রহ এবং ব্রডকাস্টিং টাওয়ারের মাধ্যমে আমজনতার মোবাইল ফোনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে ইন্টারনেট বা ওয়াইফাই ছাড়াই ফোনে ভিডিয়ো বা পছন্দের টিভি চ্যানেল দেখতে পাবেন গ্রাহক। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিটি খেলা, সিনেমা এবং সংবাদ সম্প্রচারও করতে পারবে।

সূত্রের খবর, আগামী দিনে দেশের আরও ২০টি শহরে এই প্রযুক্তি চালু করবে সরকার। এর মাধ্যমে দেশের দূরবর্তী এলাকাগুলিতেও ডিজিটাল পরিষেবা ছড়িয়ে দেওয়া যাবে বলে আশাবাদী প্রশাসন। ‘ডিরেক্ট টু মোবাইল’ প্রযুক্তিটির সবচেয়ে বড় সুবিধা হল ইন্টারনেট রিচার্জের খরচ থেকে অব্যাহতি পাবেন ফোন ব্যবহারকারী। এতে সাফল্য এলে জিয়ো, এয়ারটেল বা ভোডাফোনের মতো টেলিকম সংস্থাগুলির যে কপাল পুড়বে, তা বলাই বাহুল্য।

Advertisement

‘ডিরেক্ট টু মোবাইল’ প্রযুক্তিটির পারফরম্যান্স বুঝে নিতে একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মও চালু করেছে কেন্দ্র। এর জন্য যে ফোনের প্রয়োজন বর্তমানে সেটা বানাচ্ছে লাভা এবং এইচএমডি গ্লোবালের মতো সংস্থা। মুঠোবন্দি ডিভাইসের দাম খুব কম রেখেছে তারা। সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিটির মাধ্যমে দেশের প্রতিটি প্রান্তে যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ খবর পৌঁছে দিতে পারবে সরকার।

লাভা বা এইচএমডি গ্লোবাল নির্মিত ফোনগুলিতে ব্যবহার হচ্ছে ঘরের মাটিতে তৈরি এসএল-৩০০০ চিপ। সেমিকন্ডাক্টর তৈরির সঙ্গে আবার জড়িয়ে আছে সংখ্যা ল্যাবস এবং তেজ়স নেটওয়ার্ক, যা প্রকৃতপক্ষে টাটা-র একটি শাখা সংস্থা। এই প্রথম দেশের মাটিতে উৎপাদন হওয়া কোনও মোবাইল ফোনে ভারতীয় চিপ ব্যবহার হবে বলে জানা গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ‘ডিরেক্ট টু মোবাইল’ প্রযুক্তিটি কতটা সাফল্য পায়, সেটাই এখন দেখার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement