প্রতীকী ছবি।
দীর্ঘ ক্ষণ ব্যবহারের ফলে গরম হয়ে গিয়েছে ফোন। কী ভাবে ঠান্ডা করবেন ভেবে পাচ্ছেন না! এই সমস্যা এড়াতে বর্তমানে মুঠোবন্দি ডিভাইসগুলিতে থাকছে ‘লিকুইড কুলিং’ প্রযুক্তি। এটা থাকা মানে কিন্তু ফোনকে ঠান্ডা জলে চুবিয়ে দেওয়া নয়। বরং মুঠোবন্দি ডিভাইসকে নিজের থেকেই ঠান্ডা করে দেয় সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি। কী ভাবে কাজ করে ‘লিকুইড কুলিং’? আনন্দবাজার ডট কম-এর এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।
অ্যান্ড্রয়েড বা আইফোনের গরম হয়ে যাওয়ার একাধিক কারণ রয়েছে। মুঠোবন্দি ডিভাইসে দীর্ঘ ক্ষণ গেম খেললে এবং লম্বা ভিডিয়ো রেকর্ড করলে যন্ত্রটির প্রসেসার গরম হতে পারে। এ ছাড়া অনেকটা সময় ধরে এডিটিং করলেও এই সমস্যা দেখতে পাওয়া যেতে পারে। এই অবস্থায় ফোনকে ঠান্ডা করতে সক্রিয় হয় ‘লিকুইড কুলিং’ প্রযুক্তি।
বিশ্লেষকদের দাবি, এই পদ্ধতি চালু রাখতে মুঠোবন্দি ডিভাইসের ভিতরে রাখা হয় বিশেষ ধরনের একটি পাইপ বা চেম্বার। তার মধ্যে আবার থাকে বিশেষ ধরনের একটি তরল পদার্থ। ফোন গরম হয়ে গেলেই সংশ্লিষ্ট তরলটি দ্রুত বাষ্পে পরিণত হয়। এর পর পাইপ বেয়ে সেটা ফোনের ঠান্ডা জায়গায় চলে যায়। সেখানে পৌঁছে ফের তরলে বদলে যায় ওই বাষ্প।
বিশেষ ধরনের পদার্থটি তরলে পরিণত হয়ে ফের পাইপ বেয়ে পৌঁছোয় ফোনের গরম অংশে। সেখানে আবার বাষ্পে পরিণত হয়ে ঠান্ডা জায়গায় চলে যায় সেটি। এই ভাবে প্রক্রিয়াটি চলতে থাকে, যার পোশাকি নাম ‘লিকুইড কুলিং’। প্রতি বারই ফোনের প্রসেসারকে ঠান্ডা করার চেষ্টা করে ওই তরল পদার্থ।
স্যামসাং এবং ওয়ান প্লাসের মুঠোবন্দি ডিভাইসগুলির ক্ষেত্রে এর অবশ্য অন্য নাম রয়েছে। সেটা হল ‘ভেপার চেম্বার কুলিং’। শিওমি বা রিয়েলমির মতো ফোন নির্মাণকারী সংস্থাগুলির কাছে আবার প্রযুক্তিটি ‘লিকুইড কুলিং’ নামেই পরিচিত। ফোন বেশি গরম হয়ে গেলে এর উপকারিতা বুঝতে পারেন গ্রাহক।
সেপ্টেম্বরে ১৭ সিরিজের আইফোন বাজারে আনছে বহুজাতিক মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপ্ল। তার মধ্যে আইফোন-১৭ প্রো এবং আইফোন-১৭ প্রো ম্যাক্সে ‘লিকুইড কুলিং’ প্রযুক্তি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়া একাধিক অ্যান্ড্রয়েড ফোনেও সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিটি ব্যবহার করা হয়েছে।