পুরুলিয়ার অযোধ্যাপাহাড় ঘুরেছেন। এবার চলুুন কুহুবুরু। ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষায় সজীব শ্যামল। বসন্তে তার আগুন রং। তবে শীতের দিনগুলি বড় আরামদায়ক লাগে এখানে। পুরুলিয়ার গ্রাম কুহুবুরু। অযোধ্য পাহাড়, ঝালদার পাশাপাশি কহুবুরু নিয়েও আকর্ষণ তৈরি হচ্ছে পর্যটক মহলে।
দেখার মতো কী আছে বললে, উত্তর হয় একটাই, কোলাহলহীন নির্জন প্রকৃতি। ঋতুভেদে তার রূপ বদলায়। চোখের সামনে পাহাড়। মন ভাল করে দেয় পাখির কিচিরমিচির। শহুরে জীবনে হারিয়ে ফেলা অনেক কিছুই ফিরিয়ে দিতে পারে কুহুবুরু। গ্রামবাসীদের সরল জিজ্ঞাসা, সাদামাঠা জীবনযাপনের ছবি বড়ই তৃপ্তিদায়ক।
অযোধ্যা পাহাড় থেকে কুহুবুরুর দূরত্ব ১২ কিলোমিটারের মতো। তবে প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে শুধু দু’টি দিন থেকে যাওয়া যায় গ্রামটিতে। পাহাড়ের কোলে উন্মুক্ত পরিবেশে প্রকৃতি-বান্ধব থাকার জায়গা। হোটেল-রিসর্ট নয়, রয়েছে হোমস্টে। ঘর থেকে বেরোলেই চোখে পড়ে পাহাড়।
কুহুবুরু থেকে ছোট্ট ট্রেক করে পৌঁছনো যায় এখানকারই একটি পাহাড়ের মাথায়। স্থানীয়দের কেউ কেউ একে কুহুবুরু পাহাড়ও বলেন। চড়াই-উতরাই থাকলেও এই পথ পার করা কঠিন নয়। ভোর ভোর বেরোলে ঠান্ডা আবহাওয়াতেই পৌঁছে যাবেন। না হলে যেতে পারেন দুপুরের দিকে, যাতে বিকালটা উপভোগ করতে পারেন পাহাড়ের মাথায় বসে, জিরিয়ে। সেখান থেকে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত দৃশ্যমান হয়। বসন্তে এলে পাহাড়ের মাথা থেকেই দেখতে পাবেন পলাশ বাগান। শীতে ফুল থাকবে না বটে, তবে সৌন্দর্য হবে অন্য রকম।কুহুবুরুর কাছে বাঘমুন্ডিতে রয়েছে বারেডি ঝর্না। তবে শীতকালে তাতে জল পাবেন না তেমন। এই সৌন্দর্য উপভোগের জন্য আসতে হবে বর্ষায়।
অযোধ্যা পাহাড়। ছবি: সংগৃহীত।
কুহুবুরুতে দু’রাত কাটিয়ে তৃতীয় দিন থেকে যেতে পারেন অযোধ্যা পাহাড়ে বা মুরগুমায়। ঘুরে নিতে পারেন ছৌ মুখোশের গ্রাম চড়িদা। দেখে নেওয়া যায় আপার ড্যাম, লোয়ার ড্যাম, বামনি ফল্স, মুরগুমা জলাধার, মার্বেল লেক, পাখি পাহাড়।
কী ভাবে যাবেন?
পুরুলিয়া স্টেশন থেকে কুহুবুরুর দূরত্ব ৫২ কিলোমিটারের মতো। বাঘমুন্ডি-পুরুলিয়া রাস্তা ধরে যেতে হবে। কলকাতা থেকে সড়কপথেও যাওয়া যায়। ঝাড়গ্রাম, লোধাশুলি হয়ে যেতে পারেন।
কোথায় থাকবেন?
কুহুবুরুর আশপাশে ২-৩টি হোম স্টে রয়েছে। এ ছাড়া অযোধ্যা পাহাড়, বাঘমুন্ডি, মুরগুমাতেও থাকা যায়। সেখানে হোটেল আছে।