সঠিক ভাবে ব্যাগ গোছাতে পারলে ভ্রমণের সময় সমস্যা তৈরি হবে না। ছবি: সংগৃহীত।
প্যাকিং ঠিক মতো না হলে, অনেক সময়ে ভ্রমণের আনন্দই মাটি হয়ে যায়। তাই বাড়ির বাইরে পা রাখতে হলে আগে ঠিক মতো সঙ্গের ব্যাগটি গুছিয়ে নিতে হবে। গাড়িতে বা বিমানে বেশি ব্যাগ নিলে সমস্যা। বেশি জিনিস নিলে ট্রানজ়িটে তা হারিয়ে ফেলার ভয় থাকে। আবার ঘুরতে গিয়ে কেনাকাটা মানে, ফেরার সময় মালপত্রের পরিমাণও বাড়তে পারে। তাই ভ্রমণের আগে খুবই বুদ্ধি করে গোছগাছ পর্ব শেষ করা উচিত।
সবার আগে বুঝতে হবে, সপ্তাহান্তের সফর এবং এক মাসের ভ্রমণ এক নয়। তাই উভয় ক্ষেত্রেই প্যাকিংয়ের ধরনও আলাদা হবে। এ ছাড়াও মাথায় রাখতে হবে, গ্রীষ্মকালের প্যাকিংয়ের সঙ্গে শীতকালের গোছগাছের পার্থক্য আছে। তবে ৫টি পরামর্শ মেনে চললে যে কোনও ভ্রমণের ক্ষেত্রেই সুবিধা হবে।
১) ব্যাগের ধরন: বড় ব্যাগের মধ্যে ছোট ছোট ব্যাগ (প্যাকিং কিউব) আলাদা করে কিনতে পাওয়া যায়। এর মধ্যে জামাকাপড় রাখতে পারলে তা ছড়িয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। এ ছাড়াও সঙ্গে রাখা উচিত টয়লেটারি ব্যাগ। একটি ছোট ওয়াটার প্রুফ ব্যাগ থাকলে প্রয়োজনীয় নথি, ফোন, ক্যামেরার মতো বৈদ্যুতিন জিনিস রাখা যায়।
২) পোশাক: অনেক সময়েই আমরা প্রচুর পরিমাণে পোশাক সঙ্গে নিই। অথচ দেখা যায়, ফিরে আসার পরেও কিছু পোশাক অব্যবহৃতই রয়ে গিয়েছে। এর ফলে ব্যাগের জায়গা নষ্ট হয়। এ ক্ষেত্রে অনেকে ৫, ৪, ৩, ২, ১ পদ্ধতি অনুসরণ করতে বলেন। অর্থাৎ সপ্তাহান্তের ভ্রমণ হলে এই তালিকা অনুসারে নিতে হবে—
· ৫ জোড়া মোজা এবং অন্তর্বাস।
· ৪টি টপ বা ঊর্ধ্বাঙ্গে পরার পোশাক।
· ৩টি বটম বা নিম্নাঙ্গে পরার পোশাক।
· ২ জোড়া জুতো।
· ১টি টুপি বা অন্য কোনও অ্যাক্সেসরি।
কত দিনের জন্য ভ্রমণ, তা মাথায় রেখেই গোছগাছ করা উচিত। ছবি: সংগৃহীত।
৩) ভাঁজের কেরামতি: ছোট ছোট জিনিসপত্র ব্যাগের মধ্যে মুড়িয়ে নিতে পারলে জায়গা বাঁচে। অন্য দিকে বড় কোনও পোশাক ভাঁজ করে নিলে সুবিধা হয়। ভারী জুতো বা কোনও পোশাক পরনে থাকলে ঘোরার সময় ব্যাগে জায়গা বেশি থাকবে।
৪) শিশি বোতলের ভিড়: বাথরুমের জন্য প্রয়োজনয়ী জিনসপত্র, যথাসম্ভব কম নেওয়া উচিত। তেল, সাবান, ক্রিম সম্পূর্ণ শিশি বা বোতলের পরিবর্তে ছোট পাত্রে ঢেলে সঙ্গে নেওয়া উচিত। এখন বেশির ভাগ হোটেলেই ব্রাশ, সাবান, শ্যাম্পু দেওয়া হয়। ফলে সেগুলি সঙ্গে নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
৫) শূন্যস্থান: সমস্ত গোছগাছ শেষ হওয়ার পরেও ব্যাগে যেন এক তৃতীয়াংশ জায়গা খালি থাকে, তা নিশ্চিত করা উচিত। ভ্রমণের সময় কেনাকাটা এবং অন্যান্য পরিস্থিতিতে ধরেই নিতে হবে, ওই জায়গাটির প্রয়োজন হবে। আর খালি না থাকলে, তখন বেশির ভাগ সময়েই নতুন ব্যাগ কেনার প্রয়োজন হয়।