Travel

Murguma Trip: বসন্তের সপ্তাহান্তে ছুটি কাটাতে যাবেন? ঘুরে আসুন মুরগুমা থেকে

যাঁরা শহরের কোলাহল থেকে মুক্তি পেতে নির্জন- নিভৃতে দিন দুয়েক সময় কাটাতে চান, মুরগুমা তাঁদের জন্য হতে পারে আদর্শ গন্তব্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১২:৩১
Share:

মুরগুমা ভ্রমণের সাত সতেরো ছবি: সংগৃহীত

সবুজের মাঝে ঋষির মতো স্থাণু এক পাহাড় আর সেই সানু তলে শায়িত এক নদী। পুরুলিয়ার গহীন অরণ্যের মধ্যে যে এমন একটি স্থান লুকিয়ে রয়েছে তা স্বচক্ষে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। স্থানটির নাম মুরগুমা। অযোধ্যা পাহাড়ের পাদদেশে একটি জলাধারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এই ছোট্ট পর্যটনস্থল। যত দূর চোখ যায় শুধু শাল, পলাশ, সেগুনের সবুজ বনানী, আর সেই নির্জনতার মধ্যে মাঝে শান্ত জলরাশি নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে মুরগুমা জলাধার।

Advertisement

লোয়ার ড্যাম। ছবি সৌজন্য: পর্যটন দপ্তর

কী দেখবেন

মুরগুমাতে অধিকাংশ মানুষই আসেন অবসর যাপনের উদ্দেশ্যে, শহরের কোলাহল ও ব্যস্ততা থেকে কয়েক দিনের বিরতি নিতে। জলাধারের পাশে বসেই কেটে যেতে পারে গোটা দিন। তবে চাইলে জলাধারের উপচে পড়া জলে ভিজিয়ে নিতে পারেন পা। এখানকার আরও একটি জনপ্রিয় স্থানের নাম সুইসাইড পয়েন্ট। ভয় পাবেন না। নাম সুইসাইড পয়েন্ট হলেও আত্মহত্যার সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই। আসলে, এটি পাহাড়ের একটি শীর্ষ বিন্দু। যার তিন দিকেই রয়েছে খাদ ও জলাধার। হাঁটা পথে এই স্থানটির দূরত্ব দেড় কিলোমিটারের বেশি নয়। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের দিনে এখানে গেলে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করাই বাঞ্ছনীয়। মুরগুমা গ্রামটিও দেখে নিতে পারেন পায়ে হেঁটে। গ্রামবাসীরা উৎসবের দিনগুলিতে সুন্দর করে সাজান বাড়ির দেওয়াল। নিজস্ব গাড়ি নিয়ে গেলে সহজেই ঘুরে নিতে পারেন পার্শ্ববর্তী আরও কিছু জলাধার, পাহাড়ি ঝর্ণা ও পাখি পাহাড়।

Advertisement

কী ভাবে যাবেন

কলকাতা থেকে যেতে হলে রূপসী বাংলা বা চক্রধরপুর প্যাসেঞ্জার ধরতে হবে। পুরুলিয়া স্টেশন থেকে মুরগুমার দূরত্ব প্রায় ৫৫ কিলোমিটার। পুরুলিয়া স্টেশনের কিছু দূরেই রয়েছে বাস স্ট্যান্ড। বাসে করে বেগুন কোদর হয়ে আসতে হবে মুরগুমা। সড়ক পথে আসতে চাইলে রাঁচি রোড ধরে বেগুন কোদর হয়ে পৌঁছতে হবে গন্তব্যে।

কোথায় থাকবেন
এখানে থাকার জন্য অল্প কয়েকটি রিসর্ট রয়েছে। তাই আগে থেকে যোগাযোগ করে যাওয়াই ভাল। খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থাও সেখানেই। আমিষ ও নিরামিষ দু’ধরনের খাবারেরই বন্দোবস্ত রয়েছে। রয়েছে ইকো ট্যুরিজম বা প্রকৃতির কোলে থাকার ব্যবস্থাও। এ ছাড়া, সম্প্রতি ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু হোম স্টে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন