প্রতীকী চিত্র। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
জনপ্রিয় গন্তব্যে ঘুরতে যেতে হলে সময় থাকতে পরিকল্পনা করা উচিত। বছরের শুরুতেই বহু পর্যটক সারা বছরে তাঁদের গন্তব্য ঠিক করে ফেলেন। সেই মতো হোটেল, ট্রেন বা বিমানের টিকিটও কেটে ফেলেন। একটা সময় ভ্রমণ ছিল অনেকাংশে কোনও সংস্থা বা এজেন্ট-নির্ভর। কিন্তু এখন বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং অ্যাপের দৌলতে নিজেই পরিকল্পনা করে ফেলা যায়। আবার শেষ মুহূর্তে পরিকল্পনা করলে অনেক সময়েই পছন্দের জায়গায় হোটেল বুকিং করা যায় না।
সিজ়নে ঘুরতে গেলে হোটেলে বুকিং পাওয়াই কষ্টকর হতে পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করলে বুকিংয়ের ক্ষেত্রে হয়রানি কমতে পারে। বুদ্ধি করে পরিকল্পনা করলে ভ্রমণ হয় সহজ-সরল।
১) ধরা যাক, হঠাৎ করে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। এ দিকে হোটেল পাওয়া যাচ্ছে না। এ রকম ক্ষেত্রে উপকারে আসতে পারে সমাজমাধ্যম। সেখানে ভ্রমণ সংক্রান্ত একাধিক ফোরাম রয়েছে। সেখানে নিয়মিত নজর রাখা উচিত। মাঝে মধ্যেই সেখানে শেষ মুহূর্তে হোটেল বুকিং বাতিলের খবরাখবর দেওয়া হয়। কিন্তু তা অনেক সময়েই হোটেল বুকিং অ্যাপে জানা যায় না। ফলে সময় মতো সিদ্ধান্ত নিলে কেউ সিজ়নে দার্জিলিং বা পুরীতেও হোটেল পেয়ে যেতে পারেন।
২) হোটেল বুকিংয়ের ক্ষেত্রে অনেকেই জনপ্রিয় একটি বা দু’টি ওয়েবসাইটে নজর রাখেন। কিন্তু ভ্রমণ বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, সম্ভব হলে ১০টি ওয়েবসাইটে হোটেলের সন্ধান করা উচিত। কারণ একটি হোটেলের ঘর একাধিক কোম্পানি সংরক্ষণ করে। তাই একটি চর্চিত কোম্পানি ‘সোল্ড আউট’ দেখালে, অপেক্ষাকৃত কম প্রচলিত কোনও ওয়েবসাইটে একই হোটেলের ঘর পাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়াও কয়েকটি অ্যাপে হোটেল সংক্রান্ত নোটিফিকেশনের সুবিধা রয়েছে। তাই ঘর খালি হলেই তৎক্ষণাৎ তা জানা যায়।
৩) হাতে সময় থাকলে ভ্রমণের সময় এক-দু’দিনের জন্য অদলবদল করলেও ঘর পাওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সম্ভব হলে সপ্তাহান্তকে ভ্রমণসূচিতে না রাখাই ভাল। সিজ়নের সময় শনি বা রবিবারে কোনও হোটেলে ঘর না পাওয়া যেতেই পারে। কিন্তু শুক্র বা সোমবারে ওই একই হোটেলে ঘর খালি থাকার সুযোগ বেশি।
প্রতীকী চিত্র। ছবি: সংগৃহীত।
৪) সময়ে বুকিং না করলে গন্তব্যের জনপ্রিয় এলাকায় হোটেল পাওয়া কঠিন হতে পারে। যেমন, পুরীতে রথের সময় মন্দিরের কাছাকাছি হোটেল পাওয়া সমস্যা। কিন্তু এ রকম ক্ষেত্রে একটু দূরে সন্ধান করলে হোটেলে ঘর পাওয়া যেতে পারে।
৫) অনলাইনে বুকিংয়ের সময় ‘ডায়নামিক প্রাইসিং’-এর ফাঁদ থেকে বাঁচতে ‘ইনকগনিটো মোড’ ব্যবহার করা উচিত। তার ফলে কম দামে পছন্দের হোটেল পাওয়া যেতে পারে। মাথায় রাখা উচিত, যে কোনও হোটেলে বিশেষ কারণের জন্য কিছু ঘর সংরক্ষিত থাকে। ওয়েবসাইটে পাওয়া না গেলে হোটেলে সরাসরি যোগাযোগ করা যায়। শেষ মুহূর্তে ভাগ্য সহায় হলে অনেকেই সেই ঘরগুলি পর্যটকেদের দিয়ে দেন।
৬) তথাকথিত হোটেলের বাইরেও এখন বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি ভাড়া পাওয়া যায়। কোনও সংস্থা বা ব্যক্তিগত মালিকানাধীন এই বাড়িগুলিতে হোটেলের মতো খরচেই থাকা যায়। খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থাও থাকে।
৭) অনেক সময়ে হোটেলে ঘর না পাওয়া গেলে কাজে আসতে পারে বিভিন্ন ‘ইউথ হস্টেল’। সমাজমাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের একাধিক ফোরাম রয়েছে। সেখান থেকে ঘরের খোঁজখবর পাওয়া যেতে পারে। আবার অনেক সময়ে ওয়েবসাইট থেকেও সরাসরি বুকিং করা যায়।