Airport Security Tips

বিমানবন্দরে নিরাপত্তার নানা ধাপ পেরোনো খানিক ঝক্কির, কী ভাবে তা নির্ঝঞ্ঝাট করবেন?

বিমানবন্দরে প্রবেশ থেকে বিমানে ওঠা পর্যন্ত পার হতে হয় নিরাপত্তাজনিত একাধিক ধাপ। তার জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়াতেও হয় অনেক সময়ে। কী ভাবে তা নির্ঝঞ্ঝাট হবে?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:৩৪
Share:

বিমানবন্দরে নিরাপত্তার ধাপ নির্ঝঞ্ঝাটে পেরোনোর কৌশল।

দূরত্ব খুব বেশি না হলে এক দেশ থেকে অন্য দেশে আকাশপথে পৌঁছনো যায় ২-৩ ঘণ্টাতেই। তবে সেই উড়ান ধরার জন্যই বিমানবন্দরে প্রবেশ করা থেকে বিমানে ওঠা পর্যন্ত নিরাপত্তাজনিত নানা ধাপ পেরোতে অনেক ক্ষেত্রে সময় লেগে যায় ঘণ্টা খানেক, কখনও তারও বেশি।

Advertisement

বিমানবন্দরে প্রবেশ থেকে বিমানে ওঠা পর্যন্ত পার হতে হয় নিরাপত্তাজনিত একাধিক ধাপ। তার কারণও থাকে। বিমানে দেশ, বিদেশের অসংখ্য যাত্রী যাতায়াত করেন। উড়ানপথে চোরাচালান আটকানো-সহ নানা কারণে নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এ জন্য অনেকটাই সময় লাগে। তবে সহজ কয়েকটি কৌশল মাথায় রাখলেই নিরাপত্তাজনিত এই প্রক্রিয়া নির্ঝঞ্ঝাট হতে পারে। জানুন কী সেই কৌশল?

গোছগাছ: বিমানে ছুরি-কাঁচির মতো কোনও ধারালো সঙ্গে নিয়ে ওঠা নিষেধ। যাত্রীর ব্যাগে তেমন কিছু পেলেই, ব্যাগের সব জিনিস খুঁটিয়ে পরীক্ষা করতে পারেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তাতে বাড়তি সময় যাবে। এ ছাড়া, তরল জিনিসও নেওয়ার ক্ষেত্রেও নিয়মকানুন রয়েছে। সাধারণত ১০০ মিলিলিটারের বেশি তরল প্রসাধনী সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় না। বিমানবন্দরে আসার আগেই হাতের ব্যাগে কোন জিনিস রাখা যায়, কোনটি চেক-ইন লাগেজে ভরা যায় (যেটি বিমানের খোলে ভরে দেওয়া হয়) সেগুলি জেনে নিলে, স্ক্যানিংয়ের সময়ে ঝঞ্ঝাট এড়ানো যাবে। ল্যাপটপ, মোবাইল, চার্জার— এগুলি সবই রাখতে হবে হাতের কাছে।

Advertisement

পোশাক, জুতো: প্রচুর গয়না, ফিতে বাঁধা জুতো পরলে বিমানবন্দরের নিরপত্তাজনিত পরীক্ষায় ঝঞ্ঝাট বাড়তে পারে। বেল্ট, জ্যাকেট খুলে স্ক্যান করাতে হয়। প্রয়োজনে জুতো খুলেও পরীক্ষা হয়। ফলে সহজে খোলা-পরা যায় এমন জুতো, বেল্ট পরলে সুবিধা হবে।

নথিপত্র: সিকিউরিটি চেকইনের সময় বোর্ডিং পাস দেখতে চাওয়া হয়। বিদেশযাত্রার ক্ষেত্রে পাসপোর্টের দরকার হয় ধাপে ধাপে। জরুরি জিনিসগুলি হাতের কাছে রাখলে অচিরিক্ত সময় বাঁচানো যাবে।

সিকিওরিটি ফাস্টট্র্যাক: লম্বা লাইন এড়াতে সিকিওরিটি ফাস্টট্র্যাক নামে একটি পাস পাওয়া যায়। অতিরিক্ত টাকা দিয়ে তা সংগ্রহ করতে হয়। এই পাস থাকলে লম্বা লাইনের ঝক্কি এড়িয়ে নিরাপত্তাজনিত পরীক্ষা পর্ব পার করা যায়। সঙ্গে শিশু বা বয়স্ক থাকলে এই পাস খুবই সুবিধাজনক হতে পারে।

মরসুম: যে রাজ্য বা দেশে যাচ্ছেন, সেখানে উৎসব থাকলে বা বেড়ানোর মরসুম হলে ভিড় বেশি হবে। দিনের ব্যস্ত সময়ে উড়ান ধরতে গেলেও লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হতে পারে। ভিড় এড়াতে চাইলে সময় নির্বাচনও জরুরি।

টিকিট: বিজনেস ক্লাসের যাত্রীদের বা প্রিমিয়াম টিকিট থাকলে অনেক বিমান সংস্থা বাড়িত সুযোগ দেয়। সে ক্ষেত্রে নিরপত্তা নিশ্চিত করার পরীক্ষার জন্য আর পাঁচ জনের সঙ্গে লাইন দিতে হয় না। বিমান ছাড়ার সময় হয়ে গেলে আর সামনে লম্বা লাইন থাকলে বিমান সংস্থার কর্মীদের অনুরোধও করতে পারেন সমস্যার কথা জানিয়ে। এ ক্ষেত্রে তাঁরাও অনেক সময়ে বাড়তি সুবিধা দেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement