—প্রতীকী ছবি।
জন্মদিনে প্রিয় পোশাক পরতেই হবে। তবে তার জন্য ওজন কমিয়ে হতে হবে ছিপছিপে চেহারার অধিকারিণী। মনপসন্দ চেহারা পেতে কড়া ডায়েট শুরু করেছিল ১৬ বছর বয়সি কিশোরী। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তই জীবনে কাল ডেকে আনল। রোগা হওয়ার জন্য কঠিন ডায়েট করে কোনও রকমে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এল সে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে চিনে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেই নামের ওই কিশোরীর বাড়ি চিনের হুনান প্রদেশে। জন্মদিনে নতুন পোশাক পরার জন্য মরিয়া হয়ে ওজন কমানোর চেষ্টা করছিল সে। শুরু করেছিল কড়া ডায়েট। শুধুমাত্র শাকসব্জি এবং পেট পরিষ্কার রাখার জন্য জোলাপ জাতীয় খাবার খাচ্ছিল। মেই ধরে নিয়েছিল ওই সব খাবার তাকে ওজন দ্রুত কমাতে সাহায্য করবে। কিন্তু সপ্তাহ দু’য়েক ওই ডায়েট মেনে চলার পরেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে প়়ড়ে সে। হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় তাকে। অল্পের জন্য মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পায় মেই।
জানা গিয়েছে, হঠাৎ করে খাদ্যাভ্যাস বদলে দেওয়ার কারণে মেইয়ের শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তার হাত-পায়ের পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। হাঁটাচলার শক্তি হারিয়ে ফেলে। শ্বাসকষ্টও শুরু হয়। এর পরেই হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় তাকে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মেইয়ের শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি দেখা গিয়েছিল। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করা হলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হতে পারত সে। তবে বর্তমানে মেইয়ের অবস্থা স্থিতিশীল। তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
বর্তমানে অনেক তরুণ-তরুণী প্রায়শই ওজন কমানোর জন্য চিকিৎসকদের পরামর্শ না মেনেই কড়া ডায়েট শুরু করেন। মাঝেমধ্যে ফল হয় উল্টো। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা সতর্ক করেছেন, সবার জন্য এক ডায়েট কাজ করে না। তাই সকলের উচিত পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে ডায়েট করা।
মেইয়ের ঘটনা সমাজমাধ্যমেও হইচই ফেলেছে। মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকেরা। এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘শরীর নিয়ে অহেতুক পরীক্ষা করা খুবই খারাপ। ওজন কমানোর জন্য প্রতি দিন পাঁচ কিলোমিটার করে দৌড়নো উচিত।’’ অন্য এক জন আবার লিখেছেন, ‘‘ডায়েটের নামে যুবসমাজ যা খুশি শুরু করেছে। আর সেই পাকামির ফলও ভুগছে অনেকে।’’