ছবি: সংগৃহীত।
শরীর অসুস্থ, ছুটি চাই। বস্কে ছুটির আবেদন জানানোর মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই সব শেষ। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন এক তরুণ! গত ১৩ সেপ্টেম্বর একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে সমাজমাধ্যমে। ৪০ বছর বয়সি শঙ্কর তাঁর বস্কে অসুস্থতার ছুটির জন্য মেসেজ করার পর পরই মারা যান। সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে বার্তা পাঠানোর কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই মৃত্যু ঘটে তাঁর। সেই অপ্রত্যাশিত ঘটনাটি এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে জানিয়েছেন শঙ্করের বস কেভি আইয়ার।
আইয়ার পোস্টে লিখেছেন, এক জন সুস্থ-সবল কর্মী ছিলেন শঙ্কর। ছ’বছর ধরে তিনি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। সুশৃঙ্খল জীবনযাপন করতেন তিনি। বিবাহিত ও একটি সন্তানের পিতা। ধূমপান এবং মদ্যপান থেকে নিজেকে বিরত রাখতেন শঙ্কর বলে জানিয়েছেন তাঁর বস্ আইয়ার। ঘটনার দিন সকালে আইয়ারের ফোনে একটি বার্তা আসে যে, শঙ্কর পিঠে তীব্র ব্যথা অনুভব করছেন। তাই তিনি অফিসে আসতে পারবেন না। ছুটির জন্য অনুরোধ জানান শঙ্কর। ছুটির অনুরোধে, স্বাভাবিক ভাবেই, আইয়ার উত্তর দিয়েছিলেন, ‘‘ঠিক আছে, বিশ্রাম নিন।’’
এই বার্তা পাঠানোর পর নিজের রোজকার কাজকর্মের মধ্যে ডুবে গিয়েছিলেন আইয়ার। ১১টা নাগাদ তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। শঙ্কর মারা গিয়েছেন। আচমকা এই খবরে স্তব্ধ হয়ে যান তিনি। প্রথমে খবরটি বিশ্বাস করতে চাননি। অন্য এক সহকর্মীকে ফোন করে নিশ্চিত হন। খবর পেয়ে শঙ্করের বাড়ির ঠিকানা জানতে চান। ঠিকানা পেয়ে দ্রুত তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যান আইয়ার।
আইয়ারের পোস্টটি ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে এক্স হ্যান্ডলে। হৃদ্রোগের ঝুঁকি সম্পর্কে অনলাইনে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। নেটাগরিকদের অনেকেই বলছেন, হৃদ্রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলি, যেমন পিঠে ব্যথা, ক্লান্তি, ঘাম এবং বমি বমি ভাবকে প্রায়শই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বা সাধারণ শারীরিক সমস্যা বলে ভুল করি। সেই সমস্যা গুরুত্ব না দেওয়ায় চিকিৎসায় বিলম্ব করে ফেলি। এক নেটমাধ্যম ব্যবহারকারী জানিয়েছেন তাঁর ৪০ বছর বয়সি এক বন্ধুর মৃত্যুও এই ভাবেই হয়েছিল। তিনি বাম কাঁধের ব্যথাকে উপেক্ষা করেছিলেন। ভুল করে বদহজম ভেবেছিলেন। অন্য এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘জীবন সত্যিই অপ্রত্যাশিত।’’ আইয়ারের পোস্টটি ইতিমধ্যেই ১১ লক্ষ বার দেখা হয়েছে। প্রায় ১৬ হাজার মানুষ পোস্টে তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।