—প্রতীকী ছবি।
মানসিক চাপের দাওয়াই হিসাবে চাই তাজা রক্ত। তাই মানুষের শরীর থেকে সিরিঞ্জে করে রক্ত বার করে নিতে পছন্দ করতেন তরুণ। রাতের অন্ধকারে বাড়ি বাড়ি হানা দিয়ে ‘ওষুধ’ জোগাড় করতে বেরোতেন তিনি। এই অদ্ভুত কাজ করতে গিয়ে ধরাও পড়লেন তরুণ। এক তরুণীর বাড়ি ঢুকে অজ্ঞান করে রক্ত নেওয়ার সময় ধরা পড়লেন তরুণ। সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুসারে ঘটনাটি চিনের। সম্প্রতি আদালত ওই তরুণের বিরুদ্ধে দু’বছরের সাজা ঘোষণা করেছে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি ভোরে লি নামের ওই তরুণ জিয়াংসুর ইয়াংঝুতে ইউ নামে তরুণীর বাড়িতে ঢুকে পড়ে। ইউ তাঁর শোয়ার ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। ঘটনার সময় তরুণীর স্বামী বাইরে ছিলেন। দরজা ঠেলে বাড়িতে ঢুকে ঘুমন্ত ইউকে চেতনানাশক দিয়ে অজ্ঞান করে সিরিঞ্জ দিয়ে হাত থেকে রক্ত টেনে নিতে শুরু করেন।
ঘটনাক্রমে সেই সময় বাড়িতে চলে আসেন ইউয়ের স্বামী। তাঁকে দেখে হকচকিয়ে যান লি। একটি পাত্র দিয়ে অনুপ্রবেশকারী লি-এর মাথায় আঘাত করেন ইউয়ের স্বামী। আদালতে ইউ জানিয়েছিলেন তিনি জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর বাঁ হাতে ব্যথা অনুভব করছিলেন। সেখানে একটি সুচের এবং রক্তের দাগ ছিল। আদালতে লি দাবি করেন যে মানসিক চাপ কমানোর উদ্দেশ্যেই তিনি এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। আদালতের নথি অনুসারে, লি এর আগেও চুরি, ধর্ষণ এবং অুনপ্রবেশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। গোপনীয়তা লঙ্ঘনের জন্য তাঁকে সাজা দিয়েছে আদালত।