Rajasthan

স্ত্রীর পেটে-কোমরে অদ্ভুত দাগ, নজরে পড়তেই ফাঁস ভয়াবহ সত্য! জানাজানি হতে টাকা, গয়না নিয়ে চম্পট নববধূর

রাজস্থানের অজমেঢ়ের সীরোহির বাসিন্দা ৩৭ বছর বয়সি বকুল কুমারের বিয়ে হয়েছিল সুলোচনি যাদবের সঙ্গে। বকুলের দাদার পরিচিত তিন তরুণ সুলোচনির সঙ্গে বকুলের বিয়ের প্রস্তাব দেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৭:৫৪
Share:

—প্রতীকী ছবি।

ধুমধাম করে বিয়ে সেরেছিলেন তরুণ। বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে পুণেতে দাদার বাড়ি বেড়াতে নিয়ে গিয়েছিলেন তরুণ। সেখানে গিয়ে তরুণের বৌদি নববধূর কোমরে ও পেটে অদ্ভুত কিছু দাগ লক্ষ করেন। সন্দেহ হওয়ায় তিনি নববধূকে চেপে ধরেন। আত্মীয়ের জেরার মুখে পড়ে সত্যিটা স্বীকার করে নেন তরুণী। তরুণীর পরিচয় জেনে হতবাক হন স্বামীও। নিজের কীর্তি ধরা পড়তেই টাকা, গয়না নিয়ে চম্পট দেন তরুণী।

Advertisement

সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে, রাজস্থানের অজমেঢ়ের সীরোহির বাসিন্দা ৩৭ বছর বয়সি বকুল কুমারের বিয়ে হয়েছিল সুলোচনি যাদবের সঙ্গে। বকুলের দাদার পরিচিত তিন তরুণ সুলোচনির সঙ্গে বকুলের বিয়ের প্রস্তাব দেন। মহেন্দ্র, কমলেশ এবং কমল নামের ওই তিন যুবক বকুলকে ছত্তীসগঢ়ের সুলোচনির ছবি দেখিয়ে বিয়ের সম্বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দেন। আড়াই লক্ষ টাকা পণ দেওয়ার পর আর্য সমাজ মন্দিরে বিয়ের আয়োজন করা হয়। বিয়ের সময় কনের বাবা এবং ভাইও উপস্থিত ছিলেন।

বিয়ে মিটে যাওয়ার পর দাদার বাড়ি গিয়ে বকুলের বৌদি সুলোচনির পেটে স্ট্রেচমার্ক দেখতে পান। সুলোচনিকে চেপে ধরতেই বেরিয়ে আসে আসল সত্যি। সুলোচনির আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। তাঁর একটি মেয়েও রয়েছে। এমনকি জয়পুরে তাঁর একটি প্রেমিকও বর্তমান। সেই প্রেমিকের সঙ্গে সংসার পাততে চান সুলোচনি। সত্যিটা প্রকাশ হওয়ার পর বকুল রাজস্থানে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। পথে বডোদরা স্টেশনে ভোরের দিকে টাকা ও গয়না নিয়ে চম্পট দেন সুলোচনি। রেলস্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন বকুল।

Advertisement

বকুলের আইনজীবী শৈলেন্দ্র সিংহ জানান, বকুল মহেন্দ্র, কমলেশ এবং কমলের কাছ থেকে টাকা ফেরত চাওয়ার চেষ্টা করেন। প্রথমে তাঁরা টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাসও দেন। কিন্তু পরে তাঁদের মনোভাব বদলে যায়। বকুলকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন তিন তরুণ। সিভিল লাইনস থানায় সুলোচনি, তাঁর বাবা এবং ভাই-সহ মহেন্দ্র এবং কমলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে। এই ঘটনায় একটি চক্রের হাত রয়েছে। এখন পর্যন্ত এই ভাবে কত প্রতারণা করা হয়েছে এবং এর সঙ্গে কত জন জড়িত তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। শীঘ্রই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement