Viral Video

নদীতে স্নান করছিলেন তরুণ, আচমকা ধেয়ে এল মৃত্যুদূত! টেনে নিয়ে গেল জলের গভীরে, তার পর...

গাউনসিলি গ্রামের বাসিন্দা কর্ণ সকাল ৯টা নাগাদ নদীতে স্নান করছিলেন। তখন আচমকাই কুমিরটি তাঁকে আক্রমণ করে বসে। কুমিরটি তাঁকে জলের নীচে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই পাল্টা আক্রমণ করেন তরুণ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২৫ ১১:২০
Share:

ছবি সংগৃহীত।

নদীতে স্নান করতে নেমে মৃত্যুদূতের মুখোমুখি হলেন এক তরুণ। দল বেঁধে বন্ধুদের সঙ্গে চম্বল নদীতে স্নান করতে নেমেছিলেন আগরার বাসিন্দা করেণ নামের এক যুবক। সেই নদীতেই যে মৃত্যুদূত ওৎ পেতে আছে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি কর্ণ ও তাঁর বন্ধুরা। স্নান করার সময়ে হঠাৎই একটি কুমির কর্ণের পা টেনে ধরে। চেষ্টা করে গভীর জলে নিয়ে যাওয়ার। মানুষে-কুমিরের সঙ্গে প্রবল লড়াই শুরু হয় জলের নীচে। তবে প্রাণে বেঁচে যান তরুণ। হাত, পা এবং মুখে গুরুতর আঘাত লেগে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি তিনি। সেই ঘটনারই একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমের পাতায় প্রকাশিত হয়েছে। যদিও সেই ভাইরাল ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।

Advertisement

সংবাদ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ঘটনাটি ১৭ মে চম্বল নদীর কাঞ্জরা ঘাটের। গাউনসিলি গ্রামের বাসিন্দা কর্ণ সকাল ৯টার দিকে নদীতে স্নান করছিলেন। তখন আচমকাই কুমিরটি তাঁকে আক্রমণ করে বসে। কুমিরটি কর্ণকে জলের নীচে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই পাল্টা আক্রমণ করেন তরুণ। জীবন বাঁচানোর জন্য প্রাণপণ লড়াই করেন কর্ণ। জলের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়। সেই দেখে কর্ণের বাকি বন্ধুরা চিৎকার শুরু করেন। বন্ধুরা এবং সেখানে উপস্থিত অন্যান্য লোকেরা কর্ণকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। কিন্তু কুমিরের কাছে পৌঁছোনোর সাহস দেখাতে পারেননি।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কর্ণ জানান, কুমিরটি তাঁর পা কামড়ে চেপে ধরেছিল। হঠাৎ আক্রমণের কারণে তিনি কী করবেন বুঝতে পারছিলেন না। খুব ভয়ও পেয়েছিলেন। কুমিরটির ধারালো দাঁত পায়ে বসে যাওয়ায় রক্ত ঝরতে শুরু করেছিল। কুমিরের আক্রমণে কর্ণের হাত ও পা থেকে মাংস ছিঁড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কর্ণ জানান, তিনি কুমিরটির মুখে ঘুষি মারতে শুরু করেন। ২-৩ মিনিট কুমিরের মুখে ঘুষি মারেন তিনি। এতে কুমিরটির চোয়াল কিছুটা শিথিল হয়ে পড়ে। সেই সুযোগে কর্ণ ভয়াল প্রাণীটির কবল থেকে নিজেকে মুক্ত করে ফেলেন। আক্রমণের সেই ভিডিয়োটি ‘অজয়েন্দ্র রাজেন শুক্ল’ নামের একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে প্রকাশিত হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement