—প্রতীকী ছবি।
এ যেন সাক্ষাৎ ভোজবাজি! ১০ দিনে টাকা দ্বিগুণ! কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পরামর্শ নিয়ে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে দ্বিগুণ টাকা পেলেন বলে দাবি করলেন এক তরুণ। নিজের ধারণার বদলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নিয়েছিলেন বলে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছিলেন তিনি। ১০ দিন ধরে এআইয়ের পরামর্শ মেনে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে ফলাফল দেখে বিস্মিত তরুণ। অভিজ্ঞতার কথা রেডিটে পোস্ট করে জানান তিনি। তাঁর দাবি তিনি ১৮টি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করেছিলেন। জনপ্রিয় দু’টি এআই মডেল চ্যাটজিপিটি ও গ্রোকের ট্রেডিং পরামর্শ অনুসরণ করে তিনি অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছেন বলে দাবি করেন তরুণ।
বিনিয়োগ সংক্রান্ত এই নতুন ধারণাটি সমাজমাধ্যমে নজর কেড়েছে। পোস্টদাতা জানান, তিনি একটি ট্রেডিং অ্যাপে ৪০০ ডলার বিনিয়োগ করেন। তিনি পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন তাঁর দক্ষতাকে কৃত্রিম মেধা টপকে যেতে পারে কি না। সেই পরীক্ষায় সফল ভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে দুই চ্যাটবটই। প্রথম দিনেই আশাতীত লাভ করেন তিনি। মাত্র চার দিনের মধ্যে এআইয়ের প্রতি আস্থা আরও দৃঢ় হয়ে ওঠে তাঁর। চার দিনের মধ্যে তিনি তাঁর পোর্টফোলিয়োকে দু’টি ভাগে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। ১৩টি বিনিয়োগ চ্যাটজিপিটি ও ৫টি গ্রোকের মধ্যে ভাগ করে দেন। দু’টি এআইয়ের কার্যকারিতার তুলনামূলক বিচার করার জন্যই এ কাজ করেন তিনি। তিনি উভয় বটকেই বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করেছিলেন। এর মধ্যে ছিল স্প্রেডশিট এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ের স্ক্রিনশট, প্রযুক্তিগত সূচক এবং ম্যাক্রো ডেটা। সব বিশ্লেষণ ঘেঁটে এমন ট্রেডিংয়ের পরামর্শ দিতে বলেছিলেন যে তিনি রাতারাতি বিপুল লাভ করেন।
১০ দিন পর ১০০ শতাংশ লাভ দেখে তিনি চমৎকৃত হয়ে যান। তিনি পোস্টে লেখেন, “আমি ১৮টা বেচাকেনা করেছি। এর মধ্যে ১৭টা লেনদেন সম্পূর্ণ করেছি। প্রতিটিতেই এআইয়ের দক্ষতা প্রশ্নাতীত।’’ রেডিট পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যাওয়ার ফলে প্রচুর প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। কেউ কেউ এআই-এর প্রশংসা করলেও, অন্যেরা স্বল্পমেয়াদি লাভ থেকে সিদ্ধান্তে না আসার বিষয়ে সতর্ক করেছেন।